ঢাকা, ১২ অক্টোবর : পুরাতন ঢাকার তাঁতিবাজার পূজা মণ্ডপে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ এবং চারজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়তে পারে আহতের সংখ্যা। তবে নিশ্চিত করে হতাহতের সংখ্যা দিতে পারছে না পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে পাকড়াও করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন উপস্থিত ভক্তকুল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার নবমীর রাত প্ৰায় ৮.০০টা নাগাদ পুরাতন ঢাকার তাঁতিবাজার পুজো মণ্ডপে সংস্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ভক্ত-দর্শনার্থীদের ভিড়ে মিশে দুর্গা মণ্ডপে প্রবেশ করে প্রতিমার সামনে গিয়ে পেট্ৰোল বোমা নিক্ষেপ করে দৌড়ে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহম্মদ এনামুল হাসান ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে উপস্থিত দর্শনার্থীদের হাতে সন্দেহভাজন তিনজন আটক হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ জিম্মায় নিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গোটা মণ্ডপজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চারজনকে মিডফোর্ড মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বাকি দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁতিবাজার পূজা মণ্ডপে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। তবে তার আগে পূজা মণ্ডপের পেছনে তিন ছিনতাইকারী জনৈক মহিলার সোনার চেইন ছিনতাই করার চেষ্টা করে। উপস্থিত দর্শনার্থীরা তাদের ধরে ফেলার চেষ্টা করলে তারা চারজনকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের ঝণ্টু (৪৫), মহম্মদ সাগর (৩৮), মহম্মদ খোকন (৩৫) এবং জনৈক বৃত্ত (২৬) বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী দুর্বত্তরা মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমার সামনে একটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। তবে তা বিস্ফোরণ হয়নি। বলা হচ্ছে, সার্বিক ঘটনায় নিহতও হয়েছেন দু-একজন। তবে নিহতের খবর সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। এদিকে পেট্রোল বোমাটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
ধৃত ছিনতাইকারীদের পরিচয় দিয়ে ওসি মহম্মদ এনামুল হাসান জানান, তারা যথাক্রমে আকাশ (২৩) (বাবা প্রয়াত জিন্নাহ, ইউসুফপুর, কোতোয়ালি গাইবান্ধা), মহম্মদ হৃদয় (২৩) (বাবা প্রয়াত কাশেম, লাউকাটি, পটুয়াখালী সদর, পটুয়াখালি) এবং মহম্মদ জীবন (১৯) (বাবা মহম্মদ আব্দুস সালাম, রাজাপুর, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালি)।