দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আচমকাই সবকিছু ঘেঁটে ঘ। হঠাৎ করে সংসদ ভেঙে দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। রবিবার তিনি দেশের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন যে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সংসদীয় নির্বাচন করা হবে। আগামী ৩০ দুন এই নির্বাচন হতে চলেছে বলেই জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
হঠাৎ এই ধরণের সংসদীয় নির্বাচনকে স্ন্যাপ লেজিসলেটিভ ইলেকশন বলা হয়। ম্যাক্রঁ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুন প্রথম দফায় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ৭ জুলাই।
সদ্য শেষ হয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচন। সেখানে খারাপ ফল হওয়াতেই এই আচমকা সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে একেবারে ধরাশায়ী হয়ে আগাম সংসদীয় নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন ম্যাক্রঁ। বুথ ফেরত সমীক্ষার দেওয়া তথ্য অনুসারে ম্যাক্রঁ সমর্থিত দল বড় ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। ডানপন্থী দলগুলি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এই কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ম্যাক্রঁ। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘যারা ইউরোপের উন্নয়ন করতে চায়, সেই সমস্ত দলের জন্য এটা মোটেও ভাল ফলাফল নয়। ডানপন্থী দলগুলি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে আমি ইস্তফাও দিতে পারছি না। আমি আপনাদেরই বেছে নেওয়ার অধিকার দিতে চাই। তাই সমসদ ভেঙে দিচ্ছি।’
ম্যাক্রঁ আরও বলেন, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা আত্মবিশ্বাসের পদক্ষেপও। আমার আপনাদের উপরে বিশ্বাস রয়েছে। ফ্রান্সের জনগণ নিজের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সেরাটাই বেছে নেবেন।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ২১টি দেশে ভোট গ্রহণ হয় রবিবার। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার। ৬ থেকে ৯ জুনের মধ্যে যেকোনো দিন ভোট গ্রহণের সুযোগ ছিল সদস্য দেশগুলোর। কোনও কোনও দেশে আবার দুদিনও ভোট হয়।
নির্বাচন শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল আসতে দেখা যায়, ডানপন্থী দলগুলো নির্বাচনে ভালো ফল করেছে। এমনকি মধ্যপন্থী, উদার এনং গ্রীন পার্টিগুলোও ৭২০ আসনের পার্লামেন্টে ভাল ফল করতে চলেছে। তবে দেখা যায় ম্যাক্রঁ-র দলই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে।
বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়, ম্যাক্রঁ-র রেনেসা পার্টি পেতে চলেছে ১৫ শতাংশ ভোট যা ন্যাশনাল Rally-র চেয়ে অর্ধেকেরও কম। অন্যদিকে সোশ্যালিস্টরা পেতে চলেছে ১৪ শতাংশ ভোট।
আগাম নির্বাচনের ঘোষণার সময় ম্যাক্রঁ বলেন, ‘স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমি আপনাদের বার্তা ও উদ্বেগ শুনেছি এবং আমি সেগুলো বিনা জবাবে এড়িয়ে যেতে পারি না। শান্তি এবং সম্প্রীতির সঙ্গে কাজ করতে ফ্রান্সের সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।’