International

11 months ago

Gorkha soldier Hari Budhamagar:কৃত্রিম পা নিয়ে মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষবিন্দুতে পা রাখলেন গোর্খা সৈন্য হরি বুধামাগর

Gorkha soldier Hari Budhamagar
Gorkha soldier Hari Budhamagar

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ একেই বলে যথার্থ মনোবল। মনের শক্তি যে শারীরিক শক্তি থেকে অনেক বড়ো তা বার বার প্রমাণ হয়েছে, আবারও হলো। দুটো পা নেই। পরিবর্তে আছে কৃত্রিম পা। কিন্তু মনের জোর তো আছে। সেই অদম্য মনোবল নিয়েই মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষবিন্দুতে পা রাখলেন গোর্খা সৈন্য হরি বুধামাগর। ক্যান্টারবেরির কেন্ট অঞ্চলের বাসিন্দা হরি ব্রিটিশ গোর্খা বাহিনীর প্রাক্তন সেনা। ২০১০ সালে আফগানিস্তান যুদ্ধে হারিয়েছেন তাঁর দু’টি পা। তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূর্ণ হল শুক্রবার দুপুরে। সেদিন দুপুর ৩ টের সময় বিশ্বের শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করেন তিনি। তার আগে ১৭ এপ্রিল এভারেস্ট অভিযান শুরু করেছিলেন তিনি। আফগানিস্তানে আইইডি বিস্ফোরণে দু’টি পা হারানোর ঠিক ১৩ বছর পরে স্বপ্নপূরণের পথে পা রাখেন তিনি। অল্প বয়স থেকেই তার বাসনা এবারেস্ট জয়। কিন্তু মধ্যে ঘটে গেলো চরণ দুর্ঘটনা।

  বিস্তর বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে হরিদের। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য এভারেস্ট বেসক্যাম্পে ১৮ দিন অপেক্ষা করতে হয় হরি এবং তাঁর সঙ্গীদের। তার পরও বন্ধুর আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। তাঁদের সামনে দিয়েই নামিয়ে আনা হয় দু’টি নিথর দেহ। তার পরও নিরাশ হননি হরি। বরং নতুন করে সাহস সঞ্চয় করে এগিয়ে গিয়েছেন অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে। ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত হরি কাটিয়েছেন নেপালের এক পাহাড়ি গ্রামে। সেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে বলা হত গত জন্মের পাপের ফল। শৈশবে খালি পায়ে স্কুলে যাওয়ার পথেই মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখতেন হরি। শৈশবের স্বপ্ন নতুন করে ফিরে এল ২০১৮ সালে। তত দিনে তিনি আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে হারিয়েছেন পা। একইসঙ্গে শারীরিক ও মানসিক আঘাতের পর তাঁকে গ্রাস করেছিল চূড়ান্ত অবসাদ। 

   বলা যায়, মাউন্ট এভারেস্টের প্রতি আকর্ষণই তাঁকে অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু এভারেস্টের পথে প্রাকৃতিক বাধা ছাড়াও ছিল আইনি জটিলতা। ২০১৭ সালে চালু হওয়া ওই আইনে বলা হয়, দৃষ্টিশক্তিহীন এবং দু’টি পা নেই এমন কেউ বা একা কোনও অভিযাত্রী পর্বতারোহণ করতে পারবেন না। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আবেদন জানান হরি ও অন্যান্যরা। ২০১৮ সালে আইনটি বাতিল বলে ঘোষিত হয়। এর পর নতুন উদ্যমে অভিযানে শামিল হন হরি। অবশেষে বিশ্বের উচ্চতম বিন্দুজয় এই অভিযাত্রীর। এমন খবরে উচ্ছ্বসিত নাগরিক মহল। তারা বলছেন মনের জোরে সব জয় করা যায়।

You might also like!