দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আরও কাছাকাছি আসছে বাংলাদেশ এবং চিন? আগামী মাসেই যৌথ সামরিক মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ এবং চিন। এই প্রথমবার যৌথ সামরিক মহড়া করবে বাংলাদেশ ও চিন। তাই এর গতি কোন দিকে যায় সেটার দিকে নজর রাখছে ভারত।
কবে হবে মহড়া?
আগামী মাসেই এই যৌথ সামরিক মহড়া হবে জানা গিয়েছে। চিনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া, বৃহস্পতিবার, চিনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে , চিন এবং বাংলাদেশের দুপক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে যৌথ মহড়া হবে। এতে যোগ দিতে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি কন্টিনজেন্ট মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে আসবে। সন্ত্রাস মোকাবিলা এবং শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের বিদ্যমান ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কী জানিয়েছে চিন?
চিনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান জানিয়েছেন, পিএলএ মে মাসের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ-২০২৪’ নামক যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য বাংলাদেশে একটি দল পাঠাবে। তিনি বলেন, 'এই যৌথ মহড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আদর্শ হিসাবে নেবে। এরই সঙ্গে এটা অপহরণরোধী, সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা নির্মূল করাকেও গুরুত্ব দেবে।'
এর ফলে চিন এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলেও আশাবাদী বেজিং। উ কিয়ান বলেন, 'চিন এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী প্রথমবারের মতন যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য মহড়া আয়োজন করতে চলেছে। এটা পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করবে। এইসঙ্গে বাংলাদেশ এবং চিনের মধ্যে বিনিময় এবং সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে।'
ভারতের অবস্থান
বারে বারে ভারতীয় ভূখণ্ডর মধ্যে প্রবেশ করেছে চিন। লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের একটি অংশকে নিজেদের বলেও দাবি করে চিন। তবে, এই মহড়ার দিকে নয়াদিল্লি দৃষ্টি রাখবে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তিনি বলেন, 'আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলির দিকে আমাদের বাড়তি নজর থাকে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করি।'
বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্ক
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন চিন বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গী হলেও, তাদের সঙ্গে অথবা অন্য যে কোনও দেশের সঙ্গে ঢাকার যা সম্পর্ক, তার সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কোনও তুলনাই চলে না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘রক্তের সম্পর্ক’ বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের পরেই ভারত সফরে আসার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।