দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গাজ়ায় জারি ইজ়রায়েলের আগ্রাসন। আর তার প্রতিবাদে ইজ়রায়েলি বিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে, প্যালেস্তাইনপন্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শয়ে শয়ে পড়ুয়া। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে শতাধিক গ্রেপ্তার হওয়ার পরও চিত্রটা বদলায়নি। বরং অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এসে যোগ দিচ্ছেন পড়ুয়ারা।
আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়েছে ইজ়রায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতেও নিয়ম ভেঙে বিক্ষোভের জন্য ১৩৩ জন প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানেক্টিকাটে ৬০ জন এবং ইয়েলে ৪৭ জন পড়ুয়ার গ্রেপ্তারির খবর এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের জন্য মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পড়ুয়াদের ডেডলাইন দিয়েছিলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে বুধবার সকালে জানা যায়, পড়ুয়াদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আলোচনা ইতিবাচক হওয়ায় ডেডলাইন আরও দু’দিন বাড়ানো হয়েছে। অধিকাংশ তাঁবু তুলে নেওয়া হবে, শুধুমাত্র কলম্বিয়ার পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন, কোনও বিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করা যাবে না— এমন বেশ কিছু শর্তে পড়ুয়ারা রাজি হয়েছেন বলে খবর।
তবে এই পরিস্থিতিতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসছে ইহুদি-বিদ্বেষ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে ইহুদি-বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে ইজরায়েলপন্থী বেশ কিছু সংগঠন। শুধু তাই নয়, ইউএস হাউস স্পিকার মাইক জনসন পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বার্তা দেবেন বলে খবর।
কিন্তু এই ইহুদি বিদ্বেষের বার্তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ইহুদি ছাত্র জ়ারেড কানেলের একটি সাক্ষাৎকার। গত এক সপ্তাহ ধরে প্যালেস্তাইনপন্থী বিক্ষোভে সামিল এই ইহুদি পড়ুয়া।
কানেলের বক্তব্য, ‘গাজ়ায় ইজ়রায়েল যে হত্যালীলা চালাচ্ছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই ইউএস আধিকারিকরা কলেজ ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগ তুলছেন। এই কলেজ ক্যাম্পাসে কোনও ইহুদি-বিদ্বেষ নেই। আমি এখানে ১০০ শতাংশ নিরাপদ বলে বোধ করি। ইজ়রায়েলের যুদ্ধাপরাধ থেকে নজর ঘোরাতে পুরোটাই আমেরিকার ষড়যন্ত্র! ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগকে সত্যি বলে বিশ্বাস করবেন না।’