Life Style News

6 months ago

Thumb Sucking Stop: বড় হয়েও যায়নি আপনার সন্তানের এই বদ অভ্যেস! এই ৫ ট্রিকেই ছাড়িয়ে দিন তার অভ্যাস

Thumb Sucking Stop
Thumb Sucking Stop

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রত্যেক বাবা-মা তাঁর সন্তানের মধ্য়ে সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলতে চান। তাই তো শিশুর জন্মের পর থেকেই তাকে আগলে রাখেন এবং প্রতি মুহূর্তেই সহবত শেখান, যাতে পরবর্তী সময়ে তাকে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। তারপরেও শিশুর মধ্য়ে কিছু অপ্রীতিকর অভ্যাস গড়ে ওঠে, যা সামাল দিতে গিয়ে নাকানি চোবানি খান বাচ্চার বাবা-মা।

বিশেষ করে অনেক শিশুর মধ্য়ে ছোট থেকে আঙুল চোষার অভ্যাস দেখা যায়। কারও কারও কয়েক মাস পরেই সেই অভ্যাস চলে যায়, কিন্তু অনেক বাচ্চার মধ্য়ে সেই অভ্যাস থেকে যায় বড় বয়স পর্যন্ত। আর তখনই মুশকিলে পড়তে হয় বাবা-মাকে! কী ভাবে বাচ্চার আঙুল চোষার অভ্যাস ছাড়ানো যায়, তাই ভেবে ভেবে দিন যায় তাঁদের। তাই তো আজ প্রবন্ধে এমনই ৫ উপায়ের সন্ধান দেওয়া হল, যার সাহায্যে খুব সহজেই বাচ্চার এই অভ্যাস ছাড়িয়ে দিতে পারেন আপনি।

কোন পরিস্থিতিতে সে এমন করে

প্রত্যেক শিশুরই একটি ট্রিগার পয়েন্ট থাকে। আর ঠিক সেই পয়েন্টে গিয়েই সে আঙুল চোষা শুরু করে। যেমন কেউ ভয় পেলে এই কাজটি করে আবার কেউ খিদে পেলেও আঙুল চুষতে থাকে। আপনার শিশুরও এমন কোনও ট্রিগার পয়েন্ট আছে, তা একবার বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে।

​তার সঙ্গে কথা বলুন

আপনার শিশু কেন এখনও আঙুল চোষে, সেই প্রশ্ন তাকে করুন। তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। বাচ্চার মনে ভরসা যোগান। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে, সে যদি এই অভ্যাস ছেড়ে দিতে চায়, তাহলে আপনি তার পাশে থাকবেন। এই কথা তাকে বুঝিয়ে দিতে পারলেই দেখবেন এই কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে আর সেও একদিন আপনাকে এসে জানাবে যে, সে এই অভ্যাসটা ছেড়ে দিতে চায়!

জোর করবেন না, তবে…

শিশু যখন মুখের ভিতর আঙুল ঢুকিয়ে রাখে, তখন জোর করে তার হাত ছাড়িয়ে দেবেন না। কিংবা বকাঝকাও করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে! তাই জোর করার পরিবর্তে তাকে বুঝিয়ে বলুন।

আপনি আপনার বাচ্চাকে বলতে পারেন যে, সে এই কাজটি বেডরুমে করতে পারে কিন্তু স্কুলে নয়। কারণ এটি একমাত্র ঘুমাতে যাওয়ার আগেই করা যায়। আর এরকম বলায় কাজ দিলে পরের পদক্ষেপ করুন।

পুরনো টোটকা কাজে লাগান

আঙুল খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ানোর জন্যে ঠাকুমারা নখের মাথায় নিম পাতা বা উচ্ছে লাগানোর পরামর্শ দিতেন। এতে বেশ কাজ হত বৈকি! তাই আপনিও এবার সেই ট্রিককে কাজে লাগান। শিশুর অজান্তে তার নখে নিম পাতা লাগিয়ে দিন। তাহলে যখনই সে নখ মুখে দেবে, তখনই তেতোর স্বাদ পাবে! আর এতেই কাজ হবে ষোলো আনা।

পুরস্কার দিতে ক্ষতি কী!

আপনার শিশু যদি সব কথা শুনে চলে এবং নিজে থেকেই এই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়, তাহলে তার কাজের প্রশংসা করুন। কখনও কখনও তাকে পুরস্কার দিন। এতে সে আরও খুশি হবে এবং খুব সহজেই এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি ছেড়ে দেবে বলে আশা করাই যায়।

You might also like!