Life Style News

3 months ago

Fuchka: কলকাতার সেরা ১০ ফুচকার সন্ধান মিলবে এখানে! জানুন

Fuchka (File Picture)
Fuchka (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতায় ফুচকার জনপ্রিয়তা বহুদিন থেকেই। মুম্বইয়ের পানিপুরি, দিল্লির গোলগাপ্পার থেকে একেবারেই আলাদা কলকাতার ফুচকার স্বাদ। শহরের পথে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে আর কোনও দোকান থাকুক বা না থাকুক এক বা একাধিক ফুচকা স্টল মিলবেই। কেউ ঠেলাগাড়িতে বেচছেন, কেউ বা ছোট্ট টেবিলে ঝুরি সাজিয়ে বেচছেন, এটাই কলকাতার চেনা ছবি।

আপনি যদি ফুচকা খেতে ভালবাসেন, তাহলে কলকাতার কয়েকটি জায়গার ফুচকা আপনাকে চেখে দেখতেই হবে, না হলে সেই সেরা স্বাদের কিছুটা হলেও অধরা থেকে যাবে। কলকাতার কিছু বিখ্যাত ফুচকার দোকানের হদিশ রইল।

ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপনের সামনে রাজেন্দ্রর ফুচকাঃ দক্ষিণ কলকাতার দক্ষিণাপনের সামনে রাজেন্দ্রর ফুচকা অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর দোকানের জল ফুচকা, দই ফুচকা, মিঠা পানি ফুচকার পাশাপাশি সবচেয়ে জনপ্রিয় আলুর দম ফুচকা। শুধু আলুর দমও বিক্রি করেন রাজেন্দ্র, দূর দূরান্ত থেকে সেই আলুর দম কিনে নিয়ে যান অনেকে।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রাম গুপ্তার ফুচকাঃ ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালের সামনে একাধিক ফুচকাওয়ালা বসলেও জার দোকানে লাইন লেগে থাকে সর্বদা, তিনি রাম গুপ্তা। ঘরে তৈরি তেঁতুলের পেস্ট এবং মশলার স্বতন্ত্র খাট্টা-মিঠা স্বাদের জন্য এই স্টলের ফুচকা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

চক্রবেড়িয়ার উপেন্দ্রর ফুচকাঃ কাঁচকলার ফুচকা খেয়েছেন কখনও? আপনার কি ডায়াবেটিস? বা ডায়েটে রয়েছেন? তাহলে আপনাকে ফুচকা খেতে যেতে হবে চক্রবেড়িয়ায়। দক্ষিণ কলকাতার চক্রবেড়িয়ার উপেন্দ্র আলুর বদলে ফুচকার পুর হিসেবে ব্যবহার করেন কাঁচকলা। স্থানীয় জৈন সম্প্রদায়ের জন্যই আলুর পরিবর্তে কাঁচকলা ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন উপেন্দ্র। তবে তাঁর এই ফুচকারও স্বাদ অতুলনীয়।

আলিপুরে প্রবেশের ফুচকাঃ আলিপুর এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুচকাওয়ালা প্রবেশ। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। উডল্যান্ড রোডে ( এইচপি পেট্রল পাম্পের পাশের গলি) বসা এই ব্যক্তি ১৭ ধরনের ফুচকা বিক্রি করেন। ভিন্ন স্বাদের ফুচকার মধ্যে রয়েছে প্রবেশের চকোলেট ফুচকা, ঘুঘনি ফুচকা, সেজওয়ান ফুচকা। এ ছাড়াও রয়েছে সাধারণ জল ফুচকা, মিঠা পানি ফুচকা, দই ফুচকাও।

লেককালীবাড়ির পাশে দুর্গা পণ্ডিতের ফুচকাঃ লেক কালীবাড়ির পাশেই দীর্ঘদিন ধরে ফুচকা বিক্রি করেন দুর্গা পণ্ডিত। কলকাতা শহরের সেরা ফুচকা বিক্রেতাদের মধ্যে অন্যতম এই দুর্গা পণ্ডিতের ফুচকা। তাঁর দোকানের সবচেয়ে জনপ্রিয় দই ফুচকা এবং আলুর দম ফুচকা।

রাসেল পার্কের নানকু রামের ফুচকাঃ নানকু রাম আজ পর্যন্ত তাঁর আলু মাখের রেসিপি কখনও কারো সঙ্গে শেয়ার করেননি, এটাই নাকি তাঁর ফুচকার সিক্রেট বা ইউএসপি। নানকু রামের ফুচকায় হিংয়ের স্বাদ মেলে, টজলে থাকে পুদিনার স্বাদ। সব মিলিয়ে একেবারে অন্য স্বাদের ফুচকা বানান রাসেল পার্কের নানকু রাম, তাই বিকেল হতেই তাঁর দোকানে যমে লম্বা লাইন। যারা একটু অন্য স্বাদের ফুচকা একবার খেয়ে দেখতে চান, তারা যেতেই পারেন নানকু রামের কাছে ফুচকা খেতে।

বিবেকানন্দ পার্কে দিলীপ ঘোষের ফুচকাঃ দিলীপ দার ফুচকার নাম জানে না এমন ফুচকাপ্রিয় কলকাতাবাসী প্রায় নেই। দিওক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে বসা দিলীপ দা সকলের কাছেই অত্যন্ত জনপ্রিয় তাঁর অনবদ্য স্বাদের ফুচকার জন্য। দিলীপ দার টকজল ফুচকা ছাড়াও চুরমুর, মিঠা চাটনি ফুচকা এবং চাটও খুব পছন্দ করে সকলে।

নিউ আলিপুরে বিজয় প্রকাশের ফুচকাঃ বিজয় প্রকাশের ফুচকা বিখ্যাত কম দামের জন্য। যারা বিজয়ের দোকানে নিয়মিত ফুচকা খেতে যান, তাঁদের দাবি, অন্যান্যদের তুলনায় এই দোকানে ফুচকা সাইজে বড়, স্বাদেও অসাধারণ।

পার্ক স্ট্রিটের ম্যাক্স মুলার ভবন সংলগ্ন ফুচকা: ইদানীং হরেক রকম ফুচকা খাওয়ার চল। তবে মিন্ট এবং পুদিনার জল দিয়ে ঝাল-ঝাল ফুচকা খেতে গেলে যেতে হবে পার্ক স্ট্রিটের ম্যাক্স মুলার ভবন সংলগ্ন ফুচকার দোকানে।

বরদান মার্কেটে কৃষ্ণকান্ত শর্মার ফুচকা: বেশির ভাগ ফুচকার দোকানে মশলা কেনা হয় বাইরে থেকে। এই দোকানের বৈশিষ্ট্য হল ফুচকায় ব্যবহার করা মশলা বাড়িতেই বানানো হয়। ফুচকাপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই দোকান।


You might also like!