ওয়াশিংটন, ১১ ডিসেম্বর : ভয়ংকর টর্নেডোর কবলে আমেরিকার টেনেসি-সহ একাধিক এলাকা। প্রবল এই ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত বহু। হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
টর্নেডো আছড়ে পড়ে টেনেসিতে। টর্নেডোর পূর্বাভাস থাকলেও ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে থাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয় ন্যাশভিল ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে। ন্যাশভিলের মন্টগোমারিতে তিন শিশু-সহ মৃত্যু হয় ছয় জনের। আহত ৬০। সকলের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। রবিবার সকাল পর্যন্ত টেনেসির একাধিক শহরে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলেন। প্রকৃতির রুদ্র রোষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শহরগুলোর ঘরবাড়ি, দোকান বাজারের। ঝড়ের জেরে ব্যহত হয়েছে যান চলাচলও। ন্যাশভিল বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রবল এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্লার্কসভিল, কাম্বারল্যান্ড, স্প্রিংফিল্ড, ম্যাডিসন, হেন্ডারসনভিল ও গ্যালাটিন। একটি ভিডিও বার্তায় ক্লার্কসভিলের মেয়র জো পিটস জানিয়েছেন, “আমরা জানি গোটা এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ বিপদে পড়েছেন। এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশাসন সব রকম সাহায্য করবে। ঝড়ের দাপট কমতেই জোর কদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এখনও টেনেসির বেশ কিছু জায়গায় হালকা ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।