Health

11 months ago

Tilapia Fish Side Effects:তেলাপিয়া মাছ কি মানব দেহের ক্ষতির কারণ হতে পারে?

Tilapia Fish Side Effects
Tilapia Fish Side Effects

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তেলাপিয়া এখন বাঙালির অত্যন্ত প্রিয়। দেশি মাছকে বিলিতি কায়দায় পরিবেশন করা হয় রেস্তোরাঁতেও। এর যদিও এই মাছের পুষ্টিগুণ নিয়ে এখনও কোনও দ্বিমত হয়নি পুষ্টিবিদদের মধ্যে। তেলাপিয়ায় প্রোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাসের মতো একাধিক অপরিহার্য উপাদান রয়েছে বলে জানা যায়। যদিও প্রথম দিকে এই মাছ নিয়ে তেমন একটা আগ্রহী ছিল না পরে বাঙালি হেঁশেলে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছে এই মাছটি।জানা গিয়েছে, বিশ্বের প্রায় 120টি দেশে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয় এই মাছটিকে।

কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি, মাছ ছাড়া বাঙালি অসম্ভব। তাই অন্যান্য মাছের দাম বেড়ে যাওয়ার মধ্যবিত্ত বাঙালি আস্থা রাখতে শুরু করে এই তেলাপিয়ার উপর। প্রথমে অবশ্য তেলপিয়ার কদর তেমন ছিল না। অনেকে একে গারবেজ ফিশ বলেন। এর প্রথমত কারণ হল এটি শেওলা এবং বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। সঠিকভাবে চাষ করলে তেলাপিয়াকে খাওয়ার জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে মাছগুলি অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় বেড়ে তোলা হচ্ছে। যার ফলে নানা রোগ-ভোগে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

কেন একে গারবেজ ফিশ বলা হয়?

প্রধান কারণ হল এর খাদ্যাভ্যাস এবং চাষের অবস্থা। সঠিকভাবে চাষ করতে তেলাপিয়াকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর করার জন্য সয়াবিন এবং ভুট্টা জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এই মাছকে নানা রকমের রাসায়নিক দিয়ে চাষ করে। এমনকি নানা দূষিত জিনিস খাবার হিসেবে দেওয়ার হয় মাছকে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে তেলাপিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত মাছেদের খাদ্য হিসেবে হাঁস, শূকর বা মুরগির দেহাবশেষ থাকে। তাই বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই মাছটি খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কা অনেক গুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই নিরাপদ নয় বলে মনে করা হয়।

কী কী সমস্যায় পড়তে পারেন এই মাছ খেলে?

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গিয়েছে এই মাছের মধ্যে ডিবিউটিলিন এবং ডাইঅক্সিন নামের মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি রয়েছে এই তেলাপিয়া মাছের মধ্যে। ডিবিউটিলিন হল এমন একটি রাসায়নিক যা প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি মানবদেহে প্রবেশ করলে স্থুলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জি- সহ নানা রকমের বিপাকীয় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ডিবিউটিলিনের চেয়েও ক্ষতিকর। ডাইঅক্সিন যা মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যানসার রোগের ঝুঁকি পর্যন্ত বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

You might also like!