দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাশিয়ার সাইবেরিয়া। ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশেই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। প্রাথমিকভাবে যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইন্সের অন্তর্গত। রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের আমুর প্রদেশের টিন্ডা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল বিমানটি— টিন্ডা একটি শহর যা মূলত চিন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। বিমানে ছয়জন ক্রু সদস্য-সহ প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। উড়ানের মাঝপথে হঠাৎই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (ATC) সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিমানটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি। পরে বিমানের অবস্থান শনাক্ত করতে একটি সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। অবশেষে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুর্গম এলাকায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলের চিত্র দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানে থাকা সকল যাত্রী এবং ক্রু সদস্যেরই মৃত্যু হয়েছে।
আমুর প্রদেশের গভর্নর ভাসিলি ওরলভ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে পাঁচ জন শিশু ছিল। নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে জরুরি পরিষেবার বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পায়। এখনও পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, তবে কারিগরি ত্রুটি বা প্রতিকূল আবহাওয়া— দু’টি সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রুশ প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিমানটি যেখানে ভেঙে পড়েছে, সেই জায়গাটি দুর্গম। তবে উদ্ধারকার্য দ্রুত এগিয়ে চলেছে।” বিমান দুর্ঘটনার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা রাশিয়া জুড়ে শোকের ছায়া। নিহতদের পরিবারকে সহানুভূতি জানাচ্ছেন রাষ্ট্রপ্রধান থেকে সাধারণ মানুষ।