দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তেল, চর্বি ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার মানেই বাড়তি ওজন ও ফ্যাটের সমস্যা। কিন্তু জানেন কী রোজ ১ চামচ ঘি খেলে ওজন বাড়ার বদলে মেদ গলতে শুরু করবে? ঘিয়ের মধ্যে এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। আর হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সমস্ত পুষ্টি শোষণের ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখাও সহজ হয়। ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন এ, ই ও ডি-এর মতো ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে। এগুলো ক্যালশিয়াম শোষণে, ত্বককে ভাল রাখতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
ঘিয়ের মধ্যে ক্যালোরি থাকা সত্ত্বেও এটি ওজন কমায়। কারণ ঘিয়ের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। তাই ঘি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং মুখরোচক খাবার বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এই উপায়েও ওজন কমাতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড ভুগছেন এবং ওজন বেড়ে চলেছে? এই অবস্থায় ঘি খেলে থাইরয়েড হরমোন ও বাড়তি ওজন দুটোই বশে থাকবে। ঘিয়ের মধ্যে আয়োডিন রয়েছে, যা থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা উন্নত করে। এতে মেটাবলিজমও উন্নত হয় এবং ওজন কমে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এই ধারণা ভুল। বরং, এক চামচ ঘি খেলে মেটাবলিক রেট বাড়ে। এছাড়া এতে মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে, যা হজম হয়ে এনার্জিতে পরিণত হয়। এই এনার্জি মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।ঘিয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা নানা উপায়ে আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখতেও আপনি নিয়মিত ঘি খেতে পারেন। এতে ওবেসিটির ঝুঁকিও কমবে।
১ চামচের বেশি ঘি না খাওয়াই ভাল। আর যদি আপনার কোলেস্টেরল ও লিভারের সমস্যা থাকে, তাহলে ঘি এড়িয়ে চলুন। আর যে সব খাবারে চর্বির মাত্রা বেশি, তার সঙ্গে ঘি না খাওয়াই ভাল। তবে, গরম ভাতে ঘি কিংবা ডালে ঘি দিয়ে খেতেই পারেন।