দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকার জন্য সমীক্ষায় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ড ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানাল কমিশন। এই তিন ধরনের নথি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন আপত্তি রয়েছে তাদের, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে তারা। তবে কমিশনের বক্তব্য, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া মানেই তিনি ভারতের নাগরিকত্ব খোয়াচ্ছেন, এমনটাও নয়।
বিহারে SIR নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ১০ জুলাই সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে। ওইদিনই নির্দেশ দেওয়া হয়, ২১ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব পেশ করতে হবে ইসিআইকে। সেই নির্দেশ মেনে সোমবার বিকেলে এফিডেভিট জমা দেয় নির্বাচন কমিশন। এফিডেভিটে দাবি করা হয়, আইনবিরুদ্ধভাবে বা ভোটারদের অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে না। SIR-এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজেরও আবেদন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির ভোট দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে কিনা সেটা যাচাই করতে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইতেই পারে কমিশন। এই অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এফিডেভিটেই আরও বলা হয়েছে, আধার কার্ড কেবল পরিচয়পত্র। ভোটার হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণে আধার কার্ডের ভূমিকা নিয়ে ৩২৬ ধারায় বিধিনিষেধ রয়েছে।
ভোটার কার্ডের বিরোধিতা করে কমিশনের মত, পুরনো ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই এপিক নম্বর তৈরি হয়ে থাকে। ফলে সংশোধনের ভিত্তিই হারিয়ে যায়। সেই সঙ্গে কমিশনের দাবি, দেশজুড়ে ভুয়ো রেশন কার্ডের রমরমা। তাই ভোটার তালিকার যোগ্যতা প্রমাণে রেশন কার্ডকে মান্যতা দেওয়া যাবে না। নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে মোট ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের সুপারিশ সত্ত্বেও সেই তালিকায় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করল না কমিশন। যদিও তাদের পেশ করা এফিডেভিটে বলা হয়েছে, SIR তালিকায় না থাকলেও কারোওর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।