দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে প্রথমে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল ঋষভ পন্থকে ঘিরে। শেষ পর্যন্ত মাঠে নামলেও ফের চোটে পড়লেন তিনি। প্রাথমিক অনুমান, পায়ের পাতার হাড়ে ফাটল ধরেছে। পরিস্থিতি যদি জটিল হয়, তবে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় থাকবে না। তেমনটা হলে শুধু চলতি টেস্টই নয়, গোটা সিরিজ় থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পন্থের।
ডাক্তারি পরিভাষায় পন্থের ‘মেটাটারসাল ফ্র্যাকচার’ হওয়ার সম্ভাবনা। অর্থাৎ পায়ের পাতার পাঁচটি হাড়ের কোনওটিতে চিড় ধরেছে। অস্ত্রোপচার না করিয়েও তা সারানো যায়। নির্ভর করছে কতটা গুরুতর সেই চোট। পায়ের উপর কম চাপ দেওয়া, বিশেষ জুতো পরা, ওষুধ খাওয়া— ইত্যাদি নানা ধরনের পরামর্শ মেনে চলতে হতে পারে।
পন্থ চোট পাওয়ার পর রবি শাস্ত্রী বলেন, “ওর যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখটা দেখে খুব খারাপ লাগছে। এমনিতেই একটা চোট পুরোপুরি সারেনি। তার উপর আবার চোট পেল। এই যন্ত্রণা আরও বাড়তে পারে। সকালে উঠলে পায়ের পাতা আরও ফুলে যেতে পারে। সে আপনি যতই বরফ লাগান না কেন। নিশ্চয়ই গোটা রাত ও বরফ লাগিয়েছে। প্রার্থনা করি যেন হাড় না ভাঙে।”
শাস্ত্রী আরও বলেন, “গাড়ি দুর্ঘটনার মতো অত বড় ধাক্কা কাটিয়েও মাঠে ফিরেছে পন্থ। কিন্তু চোট পেয়ে সাজঘরে ফেরার সময় ওর মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা ব্যথা করছে। আশা করি দ্রুত মাঠে ফিরবে।”
উদ্বিগ্ন রিকি পন্টিংও। তিনিই প্রথম মেটাটারসাল চোটের সম্ভাবনার কথা বলেন। পন্টিংয়ের কথায়, “মাটিতে পা ফেলতেই পারছিল না। গল্ফ কার্ট আসার আগে মাটিতেই ৬-৮ মিনিট গড়াগড়ি খেয়েছে। প্রথম ফোলাটা দেখে বেশ চিন্তিত। আমি নিজে মেটাটারসালে চোট পেয়েছিলাম। ছোট ছোট হাড় ভেঙে গেলে খুব মুশকিল।”
তিনি আরও বলেন, “পায়ে একটুও চাপ দিতে না পারার বিষয়টাই চিন্তার। যদি হাড় ভেঙে যায় তা হলে নিশ্চিত ভাবেই এই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাবে। তবে না ভাঙলে পন্থকে ম্যাচে ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করবে ভারত। আশা করি আর রিভার্স সুইপ মারবে না।”
ইনিংসের ৭৮ তম ওভারে ডান পায়ে চোট পান পন্থ। দেখা যায় তাঁর পা ফুলে গিয়েছে এবং বড় ক্ষত তৈরি হয়েছে। ডান পা ফেলতেই পারছিলেন না পন্থ। স্ট্রেচারে করে তাঁকে যখন মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি কতটা যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন।