Health

2 months ago

Healthy Tips: নখের ওপর সাদা সাদা দাগ কোন রোগের সঙ্কেত নয় তো! জানুন চিকিৎসকদের মত

Nails Tips (Symbolic Picture)
Nails Tips (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- স্বাস্থ্যের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সমস্ত দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই দেখা যায়, এমন অনেক অসুখের লক্ষণ আমাদের শরীরে দেখা দেয়, যা আমরা স্বাভাবিক মনে করে এড়িয়ে যাই। পরবর্তীতে সেগুলি স্বাস্থ্যের  মারাত্মক ক্ষতি করে। অনেকসময়ই খেয়াল করে দেখবেন আমাদের নখের উপর সাদা-সাদা দাগ  দেখা যায়। যা নিজে থেকেই আসে আবার নিজে থেকেই চলে যায়। তাই এই নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না কেউই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নখের উপর এই সাদা দাগই শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধার ইঙ্গিত দেয়। তাই এই ধরেনর দাগ দেখা গেলে সতর্ক হতে হবে। কারণ নখের উপর এই সাদা-সাদা দাগের পেছেন অনেক রোগের লক্ষণ লুকিয়ে রয়েছে। জেনে নিন এই দাগ কোন-কোন রোগের লক্ষণ-

অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া- কখনও কখনও নেলপলিশ, নেল গ্লস বা নেলপালিশ রিমুভার ব্যবহারের ফলে নখে সাদা দাগ পড়ে। আসলে এতে কিছু রাসায়নিক থাকে যা নখের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং এর ফলে নখ নষ্ট হতে থাকে। এর কারণে সাদা দাগ দেখা যায়।

 ছত্রাকের কারণে- অনাইকোমাইকোসিস নামক একটি ছত্রাক সহজেই নখের পৃষ্ঠকে সংক্রমিত করতে পারে। এই সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ হল নখের সাদা দাগ। এটি নখের উপর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নখ ধীরে-ধীরে পুরু ভঙ্গুর হতে পারে।

 আঘাত- অনেক সময় আঘাতের কারণে নখের উপরিভাগ নষ্ট হয়ে যায় এবং তাতে সাদা দাগের মতো দাগ দেখা যায়। নখ বাড়ার সাথে সাথে এগুলোও বৃদ্ধি পায়। সাধারণত, দরজা কোণায় হাত লেগে আঘাত, আঙুল চাপা, ডেস্কের সাথে সংঘর্ষ ইত্যাদি কারণে এটি হতে পারে।

 খুব বেশি ম্যানিকিওর করা- নিয়মিত ম্যানিকিওর করলে অতিরিক্ত চাপের কারণে নখে এমন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই অত্যধিক চাপ দিয়ে ম্যানিকিওর এড়িয়ে চলুন।

ওষুধের জন্য- অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের কারণেও নখে সাদা দাগ পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যান্সারের চিকিত্সার সময় কেমোথেরাপির পরে এই লক্ষণটি দেখা দেয়। এছাড়া কিডনি ফেইলিওর, হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগেও এটা হতে পারে।

 শরীরে মিনারেলের অভাব দেখা দিলে- শরীরে জিঙ্ক ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে নখে সাদা দাগ দেখা দিতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং সব ধরনের খাবার খান। অতএব, এই ধরনের উপসর্গ উপেক্ষা করার পরিবর্তে, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

You might also like!