দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অতিরিক্ত ওজন রোগ বিরোগের অন্যতম কারণ। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফলের রস বেশ কার্যকরী। বিভিন্ন সবজির রসও এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। এছাড়াও ফল, সবজির রস মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাহলে কোন কোন ফল ও সবজির রস নিয়মিত খাবেন? জেনে নিন!
১) গাজরের রসঃ গাজর খাওয়া বিভিন্ন কারণেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। গাজরের রস খেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের প্রতি ক্রেভিং কমবে আপনার। ফাইবার সমৃদ্ধ গাজর রস করে খেলে আপনার পেট ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। এছাড়াও গাজরের মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এই উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতে, উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে বিটা ক্যারোটিন।
২) করোলার রসঃ তেঁতো খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। বিশেষত ডায়াবেটিসের সমস্যায় করোলার রস খাওয়া খুবই কার্যকর। ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে করোলার রস। এছাড়াও কম ক্যালোরি যুক্ত করোলা রস করে খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদও ঝরবে। খাইখাই ভাব কমাতেও সাহায্য করে এই করোলার রস। সকালে খালি পেটে করোলার রস খেতে পারলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩) আমলকির রসঃ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকির রস খেলে মেটাবলিজম রেট বাড়বে শরীরের। তার ফলে কমবে ওজন। শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন হতে সাহায্য করবে আমলকির রস। বডি ডিটক্সিফিকেশনের কাজও করে আমলকির রস। অর্থাৎ শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে শরীর পরিশ্রুত রাখতে সাহায্য করে আমলকির রস।
৪) বেদানার রসঃ বেদানা খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ভাল হবে। আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে বেদানার রস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ রয়েছে বেদানার মধ্যে। শরীরের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধির পাশাপাশি ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে বেদানার রস। ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে বেদানার রস। তার ফলে সহজে অসুস্থ হবেন না আপনি।
৫) বিটের রসঃ বিটের রস খেলে ওজন কমবে। এছাড়াও বডি ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করবে এই রস। এছাড়াও নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশারের মাত্রা। মস্তিষ্ক প্রখর, সক্রিয়, সজাগ রাখতে কাজে লাগে বিটের রস। ইমিউনিটি বাড়ায় বিটের রস। ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের খেয়াল রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে বিটের সমস্যা। এর পাশাপাশি খাবার হজম করার শক্তিও বৃদ্ধি করে। খেয়াল রাখে লিভারের স্বাস্থ্যের দিকেও।