দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আমরা সাধারণভাবে যেকোনো বীজকে একটু অবহেলা করে থাকি। কিন্তু মনে রাখতে হবে একটা বীজের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আস্ত একটা গাছ,আর সেই গাছের ফুল-ফল। তাই কিছু বীজের স্বাস্থ্যগুণ ও ঔষধি গুণ অসাধারণ। যেমন -
১) পেঁপের বীজ: সাধারণত পেঁপে ছাড়িয়ে বীজ ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এর উপকারিতা জানলে আর এই ভুল কেউ করবেননা। পেঁপের বীজ ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এতে জিঙ্ক, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সহ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান পর্যাপ্ত মাত্রায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, পেঁপে বীজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওলিক অ্যাসিড,পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
২) আমলা বীজ: বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমলা বীজে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যারোটিন, আয়রন এবং ফাইবারের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে। এটা আমলকীর মতোই উপকারি। এই বীজের গুঁড়ো কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম বা অ্যাসিডিটির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এছাড়া নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা ক্রমাগত হেঁচকিতে এই বীজের গুঁড়ো খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
৩) পেয়ারা বীজ: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ফল খেলে হজম শক্তি বাড়ে। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। পেট পরিষ্কার থাকে এবং অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেয়ারার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে অবশ্যই এটি খাওয়া উচিত।
৪) সেগুনের বীজ: সেগুন কাঠের যেমন দাম, বীজও তেমন উপকারী। সেগুন বীজের তেল চুল বৃদ্ধি করে, দূর করে চুলকানি। সেগুন গাছের চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয় করা যায়। কাশি ও পিত্ত রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় সেগুন ফল।