দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লাতিন আমেরিকার দল উরুগুয়ে ঘানার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ম্যাচ শুরু করেছিল,শুধু তাই নয় ঘানাকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েও দেয় তারা , যদিও তাতে লাভ হয় নি , এবারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল উরুগুয়ে।
শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল যে ভাবে হোক ঘানার বক্সের গোল ঢোকানো। ম্যাচের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ঘানাই। ১৬ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে আক্রমণ করেছিলেন জর্ডান আয়িউ। সেখান থেকে শট নিয়েছিলেন আন্দ্রে আয়িউ। তবে উরুগুয়ের গোলকিপার সান্দ্রো রশেটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মহম্মদ কুদুসের। ভার-এর সাহায্য নিয়ে রেফারি খতিয়ে দেখতে থাকেন কুদুসকে উরুগুয়ের গোলকিপার বাধা দিয়েছেন কিনা। রিপ্লে-তে দেখা যায় রশেট বাধা দেওয়ার সময় কুদুসের পায়েই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল। ফলে দেরি না করে ঘানাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি ঘানা। রেফারি বাঁশি বাজানোর পর বেশ খানিক ক্ষণ অপেক্ষা করে তার পর শট মারেন আন্দ্রে আয়িউ। রশেট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অনায়াসে সেই শট বাঁচিয়ে দেন।
পড়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি উরুগুয়ে। পেনাল্টি বাঁচানোয় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় অনেকটাই। ২৬ মিনিটেই প্রথম গোল করে তারা। সুয়ারেস গোল লক্ষ্য করে শট নেন। বাঁচিয়ে দেন আতি-জিগি। ফিরতে বলে গোল করেন আরাস্কায়েতা। এ বারের বিশ্বকাপে এটাই উরুগুয়ের প্রথম গোল হয়। গোল পেয়ে ক্ষুধার্তের মতো আক্রমণে উঠতে থাকে উরুগুয়ের। ছ’মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় তারা। এ বারও গোল করেন আরাস্কায়েতা। ফাকুন্দো পেলিস্ত্রির উঁচু করে ভাসানো বলে নুনেজ় হেডে নামিয়ে দেন সুয়ারেসের উদ্দেশে। সুয়ারেসের পাস পেয়ে গোল করেন আরাস্কায়েতা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এক গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিল ঘানা। বাবার থেকে পাস পেয়েছিলেন বুকারি। কিন্তু তাঁর ক্রস ঠেকাতে পারেননি কুদুস। দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেয় ভার।এত করেও শেষ রক্ষা হল না বিদায় নিতে হল উরুগুয়ে কে। ম্যাচের শেষে ডাগআউটে বসে থাকা সুয়ারেসকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। এটাই ছিল তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।