উদয়পুর (ত্রিপুরা) : গতকাল গভীর রাতে উদয়পুর শহরে হঠাৎ হালকা ঝড় ও ব্যাপক বৃষ্টির ফলে বাড়ি ঘর সহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহার হাত ধরে উদয়পুর শহরের ছয় কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে জগন্নাথ দীঘির সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। লাগানো হয়েছে সুন্দর লাইটিং ও দীঘির চারপাশে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল গভীর রাতে ঝড় এবং বৃষ্টির ফলে জগন্নাথ দীঘির লাইটিঙের খুঁটিগুলো মাটি থেকে আলাদা হয়ে পড়ে গেছে।
তাছাড়া টেপানিয়া ইকো পার্কে ব্যাপক হারে গাছ ভেঙে পড়েছে। উদয়পুর ভাঙ্গারপাড়ে কৃষ্ণ শুক্লদাসের বাড়ির টিনের ছাওনি উড়ে গেছে। ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে পানীয় জল পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে উদয়পুর শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে, আজ ঘটনা ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ বিশ্রামগঞ্জের বড়জলা এলাকার স্কুল, দোকানপাট, বাড়িঘর, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। বন্ধ হয়ে গেছে বড়জলার মূল সড়ক। এদিন ভোরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রাস্তায় বিশাল আকৃতির গাছ ভেঙে পড়ে। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে গোটা এলাকা। শুরু হয় ছোটাছুটি। কিন্তু রেহাই মেলেনি এলাকার বাড়িঘর হোটেল, দোকানপাট, স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের।
পশ্চিম বড়জলার ওরিয়েন্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওপর ভেঙে পড়েছে প্রকাণ্ড গাছ। ভেঙে গেছে স্কুলের ঘর। নষ্ট হয়েছে স্কুলের বহু শিক্ষার সরঞ্জাম। স্কুলে প্রায় ৭৬ জন ছাত্রছাত্রী পাঠরত। কিন্তু এদিন স্কুলের ক্লাস রুম ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ ছিল স্কুল।
তবে দিনের বেলা এই ঝড় সংঘটিত হলে ছাত্রছাত্রীদের আঘাত আসত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্কুলের শিক্ষক বাদল দেবনাথ। অপরদিকে বড়জলার নবোদয় সংঘ পালপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটির শৌচালয়ের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের, জানান অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের হেল্পার মল্লিকা দেব।
এদিকে গোপাল দেবনাথের ঘর ভেঙে পড়েছে। দিশাহারা গোটা পরিবার। দাবি জানিয়েছেন সরকারি সহযোগিতা করার। গোপাল দেবনাথ বর্তমানে অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। ঘরে রয়েছেন স্ত্রী সহ তার দুই সন্তান।অন্যদিকে বিশ্রামগঞ্জের হোটেল ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। এক প্রকার গোটা এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।