Manik Saha: মোদীর নেতৃত্বে ভারতের বিকাশের জয়যাত্রার খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা
আগরতলা, ১০ জুন : কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি থেকে ত্রিপুরা প্রচুর উপকৃত হয়েছে। মঙ্গলবার আগরতলায় বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত ১১ বছরের কার্যকাল ছিল বিকশিত ভারতের অমৃতকাল। সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যাণের এই স্বর্ণিম কালখন্ডকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতের বিকাশের জয়যাত্রার খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। একই সাথে এই ১১ বছরের কার্যকালে সাফল্যের তথ্যচিত্র সম্বলিত পুস্তিকার আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিক সম্মেলন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কম সুদে ঋণ, আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধা হিসাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সুবিধা হস্তান্তর থেকে মধ্যস্বত্বভোগী সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ত্রিপুরার সুবিধাভোগীদের প্রাপ্ত সুবিধাগুলির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রিপুরার কৃষকরা এখন পর্যন্ত সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে ৮৪৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় কৃষকদের সরাসরি ১০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। হর ঘর জল যোজনার আওতায় ৮৫.৯৭ শতাংশ পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাত সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৮,৬৬৬ জন যোগ্য সুবিধাভোগীর মধ্যে ৮,২৫১ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ পেয়েছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় ২৩৯ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, ত্রিপুরা সরকার দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব স্বাস্থ্য কভারেজ প্রকল্প চালু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের প্রায় ১.৪৬ লক্ষ নতুন মায়েদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা প্রকল্পের আওতায় মোট ৬২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলী প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রকল্পে ১৫,০০০ এরও বেশি মানুষ নিবন্ধিত হয়েছেন এবং রাজ্যে ৩৬৮টি বাড়িতে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, দলের প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী, মিডিয়া ইনচার্জ সুনিত সরকার প্রমুখ।
You might also like!
