দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুজোয় আনাজের দাম যে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে বলেই মত দোকানীদের। ফলে পুজোর ভোগ নিয় রীতিমতো চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারা। বাজার দর ঊর্ধমূখী হওয়ার জন্য পুজোর উদ্যোক্তারা অনেকেই মেনুতে খানিকটা কাটছাঁট করবেন বলে ও ভাবছেন। পুজোকর্তারা জানাচ্ছেন, এ বছর এমনিতেই প্রতিমার দাম থেকে শুরু করে পুজোর খরচ, সবই বেড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে আনাজের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে এ বার চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর ভোগের পরিমাণ বা গুণমান, কোনও কিছুর সঙ্গেই আপস করার প্রশ্ন নেই। তাই গোটা ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
পাইকারি বাজারেও দাম আগুন। তাই খুচরো বাজারে তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে। উচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং ঝিঙে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। আর বেগুনের দাম ১০০ পেরিয়েছে। একমাত্র টোম্যাটোর দাম কম। ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে।
অক্টোবরের প্রথম দিকের অতিবৃষ্টিতে ফসল কিছুটা নষ্ট হওয়ার জেরেই আনাজের দাম এতটা বেড়েছে বলে মনে করছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা ‘চাষি ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রেসিডেন্ট কমল দে। তবে তাঁর মতে ‘‘শুধু অক্টোবরের গোড়ার অতিবৃষ্টিই দাম বাড়ার পিছনে একমাত্র কারণ নয়। এ বার তো জেলা থেকে আনাজের ট্রাক ঢুকতেই পারছে না কলকাতায়। পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে মহালয়া থেকে। তখন থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়। যার জেরে জেলা থেকে আসা আনাজের গাড়ি শহরে ঢুকতে পারছে না ঠিক মতো। অনেক গাড়ি আসছেই না। যে সব গাড়ি আসছে, তারা দ্বিগুণ-তিন গুণ ভাড়া হাঁকছে। তা ছাড়া, পুজোর জন্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা বিভিন্ন সময়ে ‘নো এন্ট্রি’ হয়ে থাকছে। ফলে সামগ্রিক ভাবে আনাজের চাহিদার তুলনায় জোগান অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’
আগে ষষ্ঠী থেকে মানুষের ঢল নামত রাস্তায়, কিন্তু এবছর মহালয়ার পর দিন থেকেই শহরের রাজপথ গুলি জন স্রোতের আকার নেওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতার রাস্তায় ট্র্যাফিকের হাল এতটাই খারাপ যে, আনাজের গাড়ি ঢুকতে চাইছে না।যার প্রভাব দেখা দিচ্ছে বাজারে।