দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুজোর আগে এই দিনটায় তারাপীঠে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। দিনভর চলে পুজোপাঠ। এদিন গর্ভগৃহ থেকে মায়ের বিগ্রহ বাইরে বের করে আনা হয়। মন্দিরের বিরাম মঞ্চে পশ্চিমমুখী করে বসানো হয় মা তারাকে।
কথিত আছে জয় দত্ত নামে এক বণিক দ্বারকা নদীর উপর দিয়ে নৌকা চড়ে বাণিজ্যে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে তারাপীঠে নৌকা দাঁড় করান। সেখানেই জয় দত্তের পুত্রকে সাপে কাটে। মৃত্যু হয় তার। এদিকে সেই সময় তারাপীঠে নোঙর করায় বণিকের ভৃত্য রান্না করার জন্য একটি কাটা শোল মাছ পাশের একটি পুকুরে ধুতে যায়। পুকুরের জলে মাছ ছোঁয়াতেই কাটা শোল মাছ জ্যান্ত হয়ে ওঠে। পুকুরের জলে চলে যায় তা।এমন অলৌকিক ঘটনা দেখে ভৃত্যরা বণিককে সবটা জানায়। এরপই বণিক তার ছেলেকে নিয়ে আসে পুকুর ঘাটে। মৃত ছেলেকে পুকুরের জলে স্নান করাতে শুরু করলেই ‘জয় তারা’ বলতে বলতে বেঁচে ওঠে ছেলে। এরপরই মুখে মুখে খবর রটে যায়। এ পুকুরে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে বলে মানে বণিকও। বর্তমানের সেই পুকুরই জীবিত কুণ্ড নামে খ্যাত।
কথিত আছে, সেই রাতেই বণিককে স্বপ্নাদেশ দেন মা তারা। শুক্লা চতুর্দশী ছিল সেই দিনটি। সেই স্বপ্ন দেখেই তারাপীঠে মা তারার পুজো শুরু করে বণিক জয় দত্ত। সেই থেকেই এই দিনটি মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। বছরের এই একটি দিনে মা তারাকে গর্ভগৃহ থেকে বের করে নিয়ে এসে মন্দিরের সামনে থাকা বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত করা হয়। সারাদিন পুণ্যার্থীর ঢল নামে সেখানে। সন্ধ্যাআরতির পর ফের মা তারাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন মা তারাকে মধ্যাহ্ন ভোগ দেওয়া হয় না। ফল, মিষ্টি দেওয়া হয়। রাতে দেওয়া হয় মহাভোগ।