আলিপুরদুয়ার, ১২ অক্টোবর : তিন মাস আগে থেকেই এই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন মৃৎশিল্পী প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এত বড় প্রতিমা রং করতে ৫০ লিটার রং লাগবে, জানাচ্ছেন মৃৎশিল্পী সুজিত পাল। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের দীর্ঘদেহি দশভুজা চমক দিতে তৈরি সুভাষপল্লী কালচারাল ইউনিট।
ক্লাবের সম্পাদক গোপাল সরকার বলেন, “রাজ্যে এত বড় প্রতিমা আর হচ্ছে না বলেই জানি। তবে উত্তরবঙ্গে এত বড় প্রতিমা অন্য কোথাও নেই বলে আমরা নিশ্চিত। এই প্রতিমা রং করতে ৫০ লিটার রং লাগবে। মেশিনে এই প্রতিমার রং করার কাজ শুরু হয়েছে।”
বছর কয়েক আগে ‘এত বড়’ দুর্গা তৈরি করে চমকে দিয়েছিল কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক । কলকাতার সেই ‘বড়’ চমক নিয়ে জেরবার হয় পুলিশ। জল গড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত ভিড় ঠেকাতে ওই ঠাকুর দেখা বন্ধ করে দিতে হয়। এবার তাকে টেক্কা দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে আলিপুরদুয়ারের সুভাষপল্লি কালচারাল ইউনিট।
এ বছর আলিপুরদুয়ার শহরের এই ক্লাবে তৈরি হচ্ছে ৪১ ফুট দুর্গা প্রতিমা। এত বড় প্রতিমা উত্তরবঙ্গে এই প্রথম তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। প্রায় ১৫ জন শিল্পী কাজ করেছেন। মূর্তি তৈরি শেষ, এখন রঙের কাজ চলছে।
এত বড় প্রতিমা বয়ে আনা সম্ভব নয়। সেই কারণে ক্লাবের পুজো মণ্ডপেই তৈরি হচ্ছে এই দীর্ঘ দুর্গা ঠাকুর। পুজোর পরে এত বড় প্রতিমা নদীতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়াও খুবই কঠিন কাজ। সেই কারণে দমকল এসে জল দিয়ে এই প্রতিমা গলিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। এই ক্লাবের দুর্গাপুজো এবার ৭৪ বছরে পদার্পণ করেছে। পুজোর বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা।
ক্লাবের সম্পাদক বলেন, “আমরা এবার রাজ্যের সবথেকে বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছি। সকলকে আমাদের প্রতিমা দেখতে পুজোর সময় আমাদের পুজো মণ্ডপে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। মাটির তৈরি এই প্রতিমা দেখলে সকলের চোখ জুড়িয়ে যাবেই।”