পাথারকান্দি (অসম) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার ছোট বড় প্রায় ২০০টি মণ্ডপে দুর্গা পূজার প্রস্তুতি প্ৰায় চূড়ান্ত। বারোয়ারি ও ঘরোয়া, বিগ বাজেটের কোনও পূজা না থাকলেও বরাবরের মতো সাত্ত্বিকতা বজায় রেখে পাথারকান্দি শহর, লোয়াইরপোয়া, শিবেরগুল, বাজারিছড়া, রাঙ্গামাটি, কটামণি, চাঁদখিরা, চুড়াইবাড়ি, সোনাখিরা, সলগই, রাধাপ্যারী, হরিবাসর, বৈঠাখাল, ইচাবিল, হাতিখিরা, নাগ্রা, কন্টেকছড়া প্রভৃতি স্থানে আয়োজকরা যথাসাধ্য সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন নিজ নিজ পুজো মণ্ডপ।
কিছু কিছু মণ্ডপ বহিঃরাজ্যের কারিগররা তৈরি করলেও এলাকার সিংহভাগ পুজো প্যান্ডাল তৈরি করেছেন স্থানীয় শিল্পীরা। বাঁশ বেত থার্মোকল চাটাই ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রায় প্রতিটি প্যান্ডাল। সাজিয়ে তোলা হয়েছে বৈদ্যুতিক আলোর রোশনিতে। কয়েকটি মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। তাছাড়া চন্দ্রযান থ্রি-র আদলেও মণ্ডপ নির্মাণ করে দর্শক টানার প্রচেষ্টা করেছে কয়েকটি পুজো কমিটি। নিয়ে আসা হচ্ছে বহিঃরাজ্যের ঢাকি দল।
এলাকায় ঘরোয়া পূজার সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। এর মধ্যে রয়েছে শতাব্দি-প্রাচীন শিবেরগুলস্থিত দেববাড়ির পুজো। এখানে এক সময় মহিষ বলি দেওয়া হত।
এদিকে পুজোয় যাতে কোনও ধরনের বিঘ্ন না ঘটে তার জন্যে শুরু থেকেই আগাম প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে সার্কল প্রশাসন সহ পাথারকান্দি ও বাজারিছড়া থানা। অবৈধ মদের রমরমা ঠেকাতে সমানতালে কাজ করে চলছে আবগারি বিভাগও। এ মর্মে গঠন করা হয়েছে স্পেশাল রাইডিং স্কোয়াড। তাঁরা পুজোর চারদিন বিশেষ বাইকে চক্কর কাটবেন প্রাতটি সড়ক ও পুজো মণ্ডপের আশপাশে। পুজোয় কেউ মদ্যপান করে সমস্যার সৃষ্টি করলে তাদেরকে ধরে রাখা হবে থানার লকআপে।
তাছাড়া পুজোয় ড্রাই ডে-ও ঘোষণা করা হবে। দশমীর দিন এলাকার বাজারিছড়া, কুকিতল, লোয়াইরপোয়া ও সলগই বিসর্জন ঘাটে লক্ষ লক্ষ ভক্তকুলের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্যও বিশেষ নৌকা, ফ্লাড লাইট ও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে শারদোৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পাথারকান্দি প্রশাসন প্রস্তুত।