দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- চারটি দিন বাপের বাড়িতে থেকে
ছেলেমেয়েদের নিয়ে কৈলাশে পাড়ি দিয়েছেন মা দুর্গা। চারদিন বাপের বাড়িতে নানা রকমের খাবার
খান মা দুর্গা। তাই বাপের বাড়িতে যাওয়ার আগে যাতে মেয়ের শরীর ভালো থাকে , তাই জন্যই
পান্তা ভাত দিয়ে কচু শাক ভোগ দেওয়ার নিয়ম মা উমাকে। এটা শুধু একটা বাড়িতে নয়, উত্তর
২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতীর পারে সমস্ত জমিদার বাড়িতে রয়েছে এমনই রীতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানকার পুজোর বিশেষত্ব হল,দশমীর দিনে
মাকে কচু শাক, পান্তা ভাত দিতেই হবে। এটাই মায়ের ভোগ। মা যাওয়ার আগে খেয়ে যাবেন।
তারপরে সেই ভোগ বেয়ারারা খাবে। তারপরে অবশিষ্ট অংশ আমরা সকলে খাই।
বিধি মেনে শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘরের মেয়ের মঙ্গল যাত্রা
শুরু হয়। দালান থেকে প্রতিমা বের করে রাখা হয় বড় জমিদারি উঠোনে। সেখানে বাড়ির মেয়ে-বউরা
একে একে উমাকে বরণ করেন। হয় সিদুঁর খেলাও। তারপরে ২৪ বেহারার কাঁধে চড়ে গ্রামের দু'কিলোমিটার
পথ পরিক্রমা শেষে ইছামতী নদীর ঘোষবাবুর ঘাটে দুর্গার নিরঞ্জন করা হয়। শুধু তাই নয়,
নিরঞ্জনেও রয়েছে নিয়ম। কেউ চাইলেই আগে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারবেন না। শুরু হয় পূর্ব
দিকের বাড়ি দিয়ে। এর পর একে একে ঘোষ বাড়ি, মুখার্জি বাড়ি, ব্যানার্জি বাড়ি সহ-একাধিক
জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হয়।