Breaking News
 
Jadavpur University Student Death: যাদবপুরে ছাত্রীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য, অনামিকার পরিবারের অভিযোগে খুনের মামলা রুজু! Kharagpur IIT: মাতৃভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা,খড়গপুর আইআইটিতে বাংলাভাষায় উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত! Jwala Gutta : মানবিকতায় উজ্জ্বল জ্বালা গুট্টা, অভাবী শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে ৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান Calcutta high Court: অবসর নিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম,নবতম দায়িত্বে বিচারপতি সৌমেন সেন! ISREL-IRAQ Conflict:'যুদ্ধঘোষণা' পশ্চিম এশিয়ার আরেক রাষ্ট্রনেতার, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামি সামরিক জোটের আহ্বান Helencha High School : ছাত্রীদের কুরুচিকর ইঙ্গিত? সহকারী প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মাথা ফাটল মারধরে!

 

Festival and celebrations

1 year ago

History of Durga Puja: সুরথ ও সমাধির হাত ধরেই কি বাঙালির প্রাণের উৎসবের সূচনা! কি বলছে ইতিহাস?

Mahisasur Mardini (File Picture)
Mahisasur Mardini (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আশ্বিন মাস মানেই বাঙালির শারদোৎসবের তোরজোড়।  বাংলা ক্যালেন্ডার জানান দিচ্ছে পুজোর বাকি মাত্র আর হাতে গোনা দিন। আমাদের ঘরে চারদিনের জন্য আসতে চলেছেন আমাদের ঘরের মেয়ে উমা। তবে জানা যাক কি এই শারদোৎসবের নেপথ্য কাহিনী। 


প্রতিবছর আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাসের শুক্লপক্ষর ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি মহা ধুমধাম সমারোহে পালিত হয় দুর্গোৎসব বা শারদোৎসব। আদি মধ্যযুগ থেকে আরম্ভ করে উত্তর মধ্যযুগ পর্যন্ত ধাতু নির্মিত মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা দেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে। এই দেবী মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় দশপ্রহরনধারিনী। বাংলার শারদোৎসবে দেবীর সাথে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশকে তাঁর পরিবার রূপে দেখানো হয়। 

কথিত আছে,  পুর্বক জগন্মাতার দর্শন লাভ কামনা করে, শ্রেষ্ঠ জপ করেন। নদীর ধারে দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করে ফুল দিয়ে পূজা করেন। রাজা ও বৈশ্য তিন বছরে পুজো করেন। তবে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন।ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ থেকে জানা যায় যে পুজো শেষে তারা মৃন্ময়ী প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছিলেন। সুরত রাজা যে সময় দুর্গাপূজা করেছিলেন সেটি ছিল বসন্তকাল। বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজও অনুরূপে বসন্তকালে বাসন্তী দেবীর পূজা বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। শরৎকালের দেবীর পূজা ব্যাপকভাবে হয় তার অন্যতম প্রথম উল্লেখ আমরা পাই কালিকাপুরাণ এ। 


পূর্বে শরৎকালে দেবগন কর্তৃক মহাদেবীর বোধন ঘটে। সেই কারণে দেবী শারদা নামেও পরিচিত। এখানে দেবগনের শরৎকালের বোধনের কথা বলা হয়েছে। কৃত্তিবাস কর্তৃক রামচন্দ্র অকালে বোধন হয়নি। তবে বাংলায় দুর্গাপূজার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে কৃত্তিবাসী রামায়ণ। কালিকাপুরাণ বাংলাদেশে রচিত হয়েছিল এর রচনাকাল কৃত্তিবাসের আগে। এতে শারদীয়া পূজার কথা বলা হয়েছে কিন্তু দেবতাদিগকে এই পূজার প্রথম প্রবর্তক বলে বর্ণনা করা হয়েছে।


খ্রিস্টীয় চতুর্দশ পঞ্চদশ শতকের বিখ্যাত বৈষ্ণব কবি বিদ্যাপতি তাহার দুর্গা ভক্তি তরঙ্গিনী নামক গ্রন্থে দেবীর উল্লেখ করেছেন। একই সময়ে বর্তমান ছিলেন দুর্গোৎসব বিবেক,বাসন্তী বিবেক এবং দুর্গোৎসব প্রয়োগ নামক তিনটি নিবন্ধ এ তার পূর্ববর্তী নিবন্ধ কার দুজনেরই সম্পর্কে উক্তি করেছেন।তারা দুজনেই বাঙালি ছিলেন। তাদের আবির্ভাব কাল সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা না গেলেও এটা বলা যায় যে তারা বাংলার অন্যতম প্রাচীন স্মৃতি নিবন্ধকার ভব দেব ভট্টের পূর্ববর্তী ছিলেন। তিনি তার নিবন্ধটি মৃন্ময়ী প্রতিমায় দেবীর পূজার্চনা বাংলাদেশ সহস্র বছর ধরে প্রচলিত আছে। এমন তথ্যই দেয় তবে দেবী তার পরিবার দিকের রূপায়নে যে সুদীর্ঘকালের মধ্যে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি তা বলা যায় না লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ যেভাবে কিছুদিন আগে পর্যন্ত দেবীর পরিবারের দেবতারূপে প্রদর্শিত হতো। এখন কোন কোন প্রাচীন প্রতিমাতে প্রদর্শিত হয়। এটা ঠিক কোন সময় প্রথম প্রচলিত হয় সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।

You might also like!