আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই কাশ্মীরে নির্বাচন করতে হবে বলে দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে| সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রীয সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে| চালু করেছে নযা পরিচয়পত্র| ্প্রত্যেক পরিবারকে সামাজিক ্প্রকল্পের সুবিধা যাতে পায তার জন্য একটি নির্দিষ্ট কোড দেওযা হচ্ছে| এই সিদ্ধান্তকে নিশানা করে করে পিডিএফ নেত্রী মেহৱুবা মুফতি বলেছেন, বিশেষ মর্যাদা লোপ করে এখন কাশ্মীরের বসবাসকারীদের সরকার বিশ্বাস করতে পারছে না| তাদেরকে এখন চিহ্নিত করতেই নযা পরিচযপত্র দেওযা শুরু করেছে| সরকারের বিশ্বাসের ঘাটতির ্প্রতিফলন বলা যেতে পারে| সরকার এখন আর ভারতের নাগরিকদের বিশ্বাস করতে পারছে না| তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিযেে| এদিকে বিরোধী দলের নেতা বলেছেন, কাশ্মীরে কোনও বিদেশি থাকে না| কাশ্মীরে বসবাস করে সেখানকার স্থানীয বাসিন্দারা| কেউ লুকিযে বসবাস করে না| জম্মু কাশ্মীরের বসবাসকারীদের একটি নির্দিষ্ট তথ্য ভাণ্ডাৰ তৈরি করা ব্যাপারে উদ্যোগী হযেে সরকার| ্প্রত্যেক পরিবারকে একটি কোড দেওযা হবে| ্প্রশাসন থেকে দাবি করা হযেে সবাই যাতে সামাজিক ্প্রকল্পের সুবিধা পেতে পেতে পারে তার জন্যই এˆই ব্যবস্থা| বিজেপি ছাড়া আর সব দলই এর বিরোধিতা করছে| তারা বলছে সরকার এখন কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ওপরে নজর রাখছে| সবার ঘরের খবর সরকার তাদের কাছে রাখতে চায| কাশ্মীরে যাতে বাইরের কোনও লোক এসে স্থাযীভাবে বসবাস না করতে পারে তার দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে|
তবে সব ভারতীযরা কাশ্মীরে বসবাস করার অধিকারী| কিন্তু বিদেশিরা যাতে লুকিযে কাশ্মীরে এসে বসবাস না করতে পারে তার দিকে লক্ষ্য রেখে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হযেে| পিডিপি দলের সভাপতি মেহৱুবা মুফতি বলেছেন, কাশ্মীরিদের ওপরে সন্দেহ করছে ্প্রশাসন| তাদের ওপরে নজর রাখার জন্য এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হযেে| জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দাদের তথ্য ভাণ্ডারের রযেে| নযা নথিতে উল্লেখ রযেে কাশ্মীরের ্প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে নির্দিষ্ট কোড দেওযা হবে| সেই কোড ধরে সামাজিক ্প্রকল্পের সুবিধা পাবে| জম্মু কাশ্মীর একটি সীমান্ত রাজ্যও বটে| ্প্রায সমযে সেখানে জঙ্গিরা ্প্রবেশ করে নাগরিকদের মধ্যে গা ঢাকা দিযে লুকিযে থাকে| ্প্রকৃত কাশ্মীরীদের শনাক্ত করা এবং তাদের সম্পর্কে খবর রাখাটার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই| যারা শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মীরে বসবাস করছে তাদের তো কোন ভযে কারণ থাকতে পারে না| কাশ্মীরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াতে যারা চেষ্টা করছে তারাই এই নযা পরিচযপত্র তৈরি করার ব্যাপারে বিরোধিতা করছে| কাশ্মীরের বাসিন্দারা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করে না| তারা শান্ত| এখন বহু বিরোধী দলের নেতারা কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত দেখতে ইচ্ছুক নন| তরা এর বিরোধিতা করছে| কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হযে বহু উন্নযনের অগ্রগতি হযেে| কাশ্মীরকে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য স্থান হিসাবে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে|