Editorial

5 hours ago

National Doctor’s Day 2025: বাংলার রূপকার ডা. বিধানচন্দ্র রায় জন্মদিনে শ্রদ্ধা, সেবা, সহানুভূতি আর সংগ্রামের আরেক নাম—চিকিৎসক দিবস!

National Doctor’s Day 2025
National Doctor’s Day 2025

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভগবানের পরে যদি কারও উপর নিঃসঙ্কোচে ভরসা রাখা যায়, তবে তা চিকিৎসক। জীবনের সংকটে, অসুস্থতার আঁধারে, একমাত্র আলো হয়ে দাঁড়ান এই সাদা অ্যাপ্রনের যোদ্ধারা। রোগ সারানোর লড়াইয়ে তাঁদের  উপস্থিতিই ফিরে পাওয়ার আশ্বাস জোগায়। তাই তাঁদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই প্রতিবছর ১লা জুলাই দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় ডাক্তার দিবস। এই দিনটিতে সম্মান জানানো হয় সেই সকল  চিকিৎসককে, যাঁরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মানুষকে সুস্থ করে তোলার ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।

ডা. রায় শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক ছিলেন না, তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং একজন দুরদর্শী চিন্তাবিদ। তিনি ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর মাত্র ২ বছর ৩ মাসের মধ্যেই ইংল্যান্ড থেকে FRCS ডিগ্রি অর্জন করেন, যা এক যুগান্তকারী কৃতিত্ব।  

• জাতীয় ডাক্তার দিবসের ইতিহাসঃ ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পালন করা হয় আজকের দিনটি। ১৮৮২ সালের ১ জুলাই ডক্টর বিধানচন্দ্র রায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শুধু একজন বিখ্যাত ডাক্তার ছিলেন তা নয়, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মানুষের সেবায় নিজের সারা জীবন নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। এই মানুষটির স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে ভারত সরকার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় ডাক্তার দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করে।  


• ২০২৫ সালের থিমঃ 'Behind the Mask: Who Heals the Healers'-এই থিমটির মাধ্যমে ২০২৫ সালে চিকিৎসকদের মানসিক ও শারীরিক চাপের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। অতিমারি  পরবর্তী যুগে চিকিৎসকরাও এক মানবিক যন্ত্রের মতো টানা কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের মন, আবেগ, ক্লান্তির জায়গাগুলি নিয়েও ভাবার সময় এসেছে।

• জাতীয় ডাক্তার দিবসের তাৎপর্যঃ 

* চিকিৎসকদের অবদানকে সম্মানিত করে সমাজে তাঁদের মর্যাদা বাড়ায় এই দিন;

* স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে;

* তরুণ প্রজন্মকে চিকিৎসা পেশায় উৎসাহিত করে;

* চিকিৎসকের জীবনের মানবিক গল্পগুলোকে তুলে ধরে।


চিকিৎসক দিবস নিছক একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়। এই দিনটি আসলে আশার প্রতীক, বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। একদিকে যেমন রোগীর নির্ভরতা,অন্যদিকে তেমনই ছাত্রছাত্রীদের কাছে এক উদ্দীপনার উৎস। গবেষকের 

নিরলস পরিশ্রম আর মানুষের প্রতি অশেষ সহানুভূতি ও সাহসের প্রকাশ ঘটে এই দিবসের মাধ্যমে। ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের জীবনজুড়ে ছিল সেই আদর্শের প্রতিচ্ছবি। তাই ১লা জুলাই ক্যালেন্ডারের একটি তারিখমাত্র নয়—  

এটি এক অনন্য উপলক্ষ, যেখানে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সকল চিকিৎসককে, যাঁরা প্রতিদিন নীরবে মানুষের প্রাণ রক্ষার সংগ্রামে শামিল হন।

You might also like!