Breaking News
 
Sunny Leone: সানি লিওনের অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত? মথুরার পুরোহিতদের হুঁশিয়ারি— ‘শো বন্ধ না হলে ফল হবে ভয়ঙ্কর’ Suryakumar Yadav and Khushi Mukherjee : মাঠের বাইরে অন্য পিচে সূর্যকুমার? বঙ্গ সুন্দরী খুশির সঙ্গে চ্যাটের কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল নেটপাড়ায় Mamata Banerjee : মমতার নিশানায় এআই ও বিজেপি! ‘৫ কোটি ভোটারের রাজ্যে ৫৪ লক্ষ নাম বাদ’, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় তোপ Mamata Banerjee:‘ইউ মাস্ট রিজাইন’! বাঁকুড়ার মাটি থেকে শাহের পদত্যাগ দাবি মমতার, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরাসরি চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee: নাম কাটার চক্রান্ত রুখবে তৃণমূল! এসআইআর-এর নামে বয়স্কদের হয়রানি দেখে ফুঁসে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Mamata Banerjee:‘বিজেপি মানেই দুঃশাসন’! শাহের দিল্লি সফরকে নিশানা করে অনুপ্রবেশ ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

Editorial

2 years ago

Editorial : শহীদ দিবসের ফিরে দেখা,তিন বীরের আত্ম বলিদান :

Martyr's Day
Martyr's Day

 

নিজের দেশকে ভালবেসে, দেশের জন্য যেসমস্ত মুক্তিযোদ্ধারা নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হল - ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং সুখদেব। এই তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ভারতের ইতিহাসে চিরকালের জন্য জ্বলজ্বল করবে। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ অর্থাৎ আজকের দিনেই এই তিন সাহসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের মাতৃভূমি ভারতের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাঁদের এই ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারতজুড়ে শহীদ দিবস পালন করা হয়।

ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যার দায়ে ব্রিটিশ সরকার ভগত সিং, শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেবের ফাঁসি দিয়েছিল ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ। সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ সুপার জেমস স্কট বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চার্জ করার নির্দেশ দেন। এই লাঠিচার্জে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা লালা লাজপত রায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসায় থাকা সত্বেও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এবং ১৯২৮ সালের ১৭ নভেম্বর মাসে তিনি মারা যান। এরপর ভগৎ সিং প্রতিজ্ঞা করেন তিনি লালা লাজপত রাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবেন।

জন সন্ডার্সকে গুলি করার পরে, ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগীরা কেন্দ্রীয় বিধানসভায় বোমা বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যান। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালান। ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার সম্পর্কিত আরও অনেক তথ্য রয়েছে।

 ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন সন্ডার্স যখন লাহোরের জেলা পুলিশ সদর দপ্তর ছেড়ে নিজের বাড়ি যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল। সন্ডার্সকে প্রথম গুলি করেছিলেন রাজগুরু, তাঁর মুখে মুখোশ পরা ছিল। তারপরে ভগৎ সিং বেশ কয়েকবার গুলি চালিয়েছিলেন। ভগৎ সিং ও তাঁর সহযোগীরা পালানোর সময় এক ভারতীয় পুলিশ কনস্টেবল তাঁদের ধাওয়া করেছিলেন। কিন্তু, সেই সময় মুক্তিযোদ্ধা চন্দ্রশেখর আজাদ এই কনস্টেবলকে গুলি করেন। ১৯২৯ সালের এপ্রিল মাসে, ভগৎ সিং এবং তাঁর সহযোগী বটুকেশ্বর দত্ত কেন্দ্রীয় বিধানসভায় দুটি বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। বিস্ফোরণের ফলে সভার কয়েকজন সদস্য আহত হন। ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত পালাতে পারতেন কিন্তু, তাঁরা সেখানে থেকে তাঁদের বিখ্যাত স্লোগান 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' উত্থাপিত করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর ভগৎ সিং প্রচুর জনসমর্থন ও সহানুভূতি অর্জন করেছিলেন। বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। তাঁর সহযোগীদেরও খুব অল্প সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাঁদের সকলকে সন্ডার্স হত্যার জন্য বিচারে প্রেরণ করা হয়েছিল।  ১৯৩১ সালে ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরু-কে ২৪ মার্চ ভোরে ফাঁসি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশাল জনতার জমায়েতের ভয়ে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ রাতে তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়। ভগৎ সিং-এর যখন ফাঁসি হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তিনি একটুও দ্বিধা না করে দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাই, তিনি মারা গেলেও বহু প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।


You might also like!