ভাঙড়, ২ জুলাই : "বাড়ির টাকা পেয়েছেন? তৃণমূলের নেতারা এসে টাকা চায়নি তো! " আপনাদের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য নেতারা বাড়ি আসে? বিপদ আপদে পাশে থাকে?" ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ঠিক এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা। জনসংযোগ না ড্যামেজ কন্ট্রোল! উঠছে প্রশ্ন?
ভোট বড় বালাই। আর ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও একবার করা টক্করের মুখোমুখি হতে হবে আইএসএফের তা বুঝেছেন সওকাত। আর সেই কারণে নির্বাচনের কয়েকমাস আগে থেকেই জনসংযোগের মাধ্যমে নিজেদের জায়গা মজবুত করার চেষ্টা শুরু করেছেন সওকাত মোল্লা। ইতিমধ্যেই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন বেশ কিছু জায়গায়। এবার জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা। বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ভাঙড়ের জাগুলগাছি অঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কথা বললেন সওকাত।
সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কি না জিজ্ঞাসা করছেন। হ্যাঁ - না এর উত্তর মিলতেই করে নিচ্ছেন নোট। কখনো বা সরাসরি বিডিও কে ফোন করে সমাধানের কথা বলছেন। তো কখনও "সরাসরি দিদিকে বলো" নম্বরে ফোন করে সাধারণ মানুষের সমাধানের কথা জানাচ্ছেন। নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছেন সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগতো বিস্তর। কেউ বলছেন বাড়ি পাইনি, কেউ বলছেন বার্ধক্য ভাতা পাইনি, কারোর আবার কৃষক বন্ধুর টাকা ঢোকে না। কেউ কেউ আবার আবেদনের পর আবেদন করেছেন কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা হয়নি। বিধানসভা ভোটের আগে সাধারণ মানুষের আস্থা বিশ্বাস পেতে জনসংযোগ রাজনীতি শুরু ভাঙড়ে! উঠছে প্রশ্ন! নওশাদের জনসংযোগ আসলে ভাঁওতা দাবি তৃণমূলের। তাহলে তৃণমূলের সওকাত মোল্লার জনসংযোগ কি সেই প্রশ্ন ভাঙড় জুড়ে।