দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হওয়ার পরই প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে হেনস্তার চেষ্টা শুরু হয়ে গেল গুজরাটে! পাঠান তাঁর বাড়ির লাগোয়া একটি প্লটের জমি বেআইনিভাবে দখল করে পাঁচিল তুলেছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে নোটিস পাঠাল বরোদা পুরসভা।
ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে? ভাদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের বাড়ি তৈরির সময়ে তার জমির পাশে থাকা আরও একটি জমি কিনতে চেয়েছিলেন ইউসুফ পাঠান। ওই জমিটি রাজ্য সরকারের। প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৫৭,০০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন পাঠান বলে জানা গেছে। ২০১২ সালে ভিএমসি-র কাছ থেকে পাঠান এই প্লটটি চেয়েছিলেন।
সেই সময়ে ভিএমসি এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এই জমি সংক্রান্ত ইস্যুতে অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু পাঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, কম্পাউন্ডে দেওয়াল নির্মাণ করে জমিটি দখল করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। গত ৬ জুন এই নোটিস পাঠান হয়েছে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদকে।
ভাদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা ভিএমসি আপাতত জানিয়েছে, তারা নোটিসের উত্তর পাওয়ার অপেক্ষা করবে। যদি ইউসুফ পাঠান কোনও জবাব না দেন বা সহযোগিতা না করেন, তাহলে আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। যদিও এটাও জানা গেছে, পাঠানের জমি কেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরও ওই নির্দিষ্ট জমিতে কোনও বেড়া বা কাঁটাতার দেওয়া ছিল না।
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। বাংলার ৪২ আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয় ছিনিয়ে এনেছে তারা। যে কটি আসনে সবথেকে বেশি নজর ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল বহরমপুর। কারণ এখানে ৫ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেটার 'আনকোরা' ইউসুফ পাঠান। তবে ভোটের ফলে বাজিমাত করেছেন তিনিই। অধীর চৌধুরীকে প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে হারান ইউসুফ। তাই তাঁকে 'জায়ান্ট কিলার' অ্যাখ্যা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।