দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও সরকারি বাসভবন ছাড়েননি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এই কারণে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, যেন দ্রুত বাড়িটি খালি করা হয়। আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিল্লির ৫ নম্বর কৃষ্ণ মেনন মার্গের ‘টাইপ এইট’ বাংলোটি প্রধান বিচারপতিদের জন্য নির্ধারিত। তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পরে যাঁরা প্রধান বিচারপতি হয়েছেন—সঞ্জীব খন্না ও বিআর গবই—তাঁরা কেউই সেখানে থাকেননি। বরং নিজের পুরনো বাংলোতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে অবসর নিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কিন্তু এখনও তিনি ওই নির্ধারিত সরকারি বাংলোতেই থাকছেন।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি খন্নাকে চিঠি লিখে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবনে থেকে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর জন্য তুঘলক রোডের ১৪ নম্বর বাংলোটি নির্ধারিত করা হলেও দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জন্য সেটিতে মেরামতির কাজ থমকে রয়েছে। আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রতি মাসে ৫,৪৩০ টাকা লাইসেন্স ফি দিয়ে সেখানে থাকতে পারবেন চন্দ্রচূড়। তবে তার পরেও প্রধান বিচারপতি খন্নার কাছে ৩১ মে অবধি ওই বাংলোয় থেকে যাওয়ার মৌখিক আর্জি জানান প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই সময়সীমাও ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের পরে বিচারপতিরা সর্বোচ্চ ছ’মাস ‘টাইপ সেভেন’ বাংলোয় থাকতে পারেন। কিন্তু চন্দ্রচূড় এখনও ‘টাইপ এইট’-এর মতো উচ্চমানের বাংলোয় রয়েছেন। তার ওপর ছ’মাসের মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, তাঁর দুই কন্যা নানা রোগে আক্রান্ত। দিল্লি এমসে তাদের চিকিৎসার জন্যই তিনি ওই বাংলোয় রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং আধিকারিকদেরও জানিয়েছেন বলে দাবি বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের। তিনি বলেন, “সরকারের তরফে ভাড়ায় আমার থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাড়িটিতে মেরামতির কাজ চলছে। কারণ, সেটি দু’বছর বন্ধ ছিল। আমি সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে, বাড়িটি বসবাসযোগ্য হলেই আমি তার পরের দিন সেখানে চলে যাব।”
বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিরা সরকারি বাংলোয় বেশি দিন থাকার অনুমতি পান।তবে কোনও সরকারি বাসভবন খালি করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে, এমন উদাহরণ আর রয়েছে কি না, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।