Country

গুয়াহাটি, ২৩ জুন  : আগামী ১ জুলাই থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে স্থায়ীভাবে অতিরিক্ত কোচ এবং আরেকটি ট্রেনে অস্থায়ীভাবে অতিরিক্ত কোচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর)। এই উদ্যোগটি ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা পূরণ, ট্রেনে সুযোগ-সুবিধা উন্নত করা এবং পুরো নেটওয়ার্ক জুড়ে ভ্রমণের সামগ্রিক মান উন্নত করার জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির অংশ।

এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, ট্রেন নম্বর ১২০৪২/১২০৪১ নিউ জলপাইগুড়ি জংশন-হাওড়া জংশন-নিউ জলপাইগুড়ি জংশন (শতাব্দী এক্সপ্রেস) যা সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করে, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার জন্য স্থায়ীভাবে একটি ভিস্তাডোম কোচ যুক্ত করা হয়েছে, বিশেষ করে যাঁরা মনোরম রুটে ভ্রমণ করেন তাঁদের জন্য। এই সংযোজনের মাধ্যমে ট্রেনটি এখন মোট ১৫টি কোচ নিয়ে চলবে। সংশোধিত গঠনটি আগামী ১ জুলাই থেকে নিউ জলপাইগুড়ি এবং হাওড়া জংশন উভয় স্টেশন থেকেই কার্যকর হবে।

একইভাবে ট্রেন নম্বর ১২০৬৭/১২০৬৮ গুয়াহাটি-যোরহাট টাউন-গুয়াহাটি (জনশতাব্দী এক্সপ্রেস) যা সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করে, যাত্রীদের আরও মনোমুগ্ধকর এবং আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য স্থায়ীভাবে একটি ভিস্তাডোম কোচ করা হয়েছে। সংশোধিত কোচের সংখ্যা এখন ১৬টি এবং এই পরিবর্তন ১ জুলাই থেকে গুয়াহাটি এবং যোরহাট টাউন থেকে কার্যকর হবে।

অতিরিক্তভাবে, ট্রেন নম্বর ১৫৪১৭/১৫৪১৮ আলিপুরদুয়ার জংশন-শিলঘাট টাউন-আলিপুরদুয়ার জংশন (রাজ্যরানি এক্সপ্রেস) যা সপ্তাহে তিনবার চলাচল করে, তাতেও স্থায়ীভাবে একটি অতিরিক্ত এসি ৩-টিয়ার কোচ যুক্ত করা হয়েছে। যাত্রী বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভ্রমণস্বাচ্ছন্দ্য উন্নত করার লক্ষ্যে এই বর্ধিত কোচ প্রদান করা হয়েছে। সংশোধিত কোচের মাধ্যমে, ট্রেনটি এখন মোট ১২টি কোচ দিয়ে চলাচল করবে। সংশোধিত গঠনটি ১ জুলাই থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন এবং ২ জুলাই থেকে শিলঘাট টাউন থেকে কার্যকর হবে।

যাত্রীকেন্দ্রিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ট্রেন নম্বর ১৫৭১৩/১৫৭১৪ কাটিহার-পাটনা-কাটিহার (ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস)-এর অস্থায়ী কোচ সংযোজন আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ট্রেনটি ১ জুলাই (২০২৫) থেকে ৩০ জুন (২০২৬) পর্যন্ত মনোনীত দিনে একটি অতিরিক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৩-টিয়ার ইকনমি কোচ সহ চলাচল অব্যাহত রাখবে, যা ভ্রমণের সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং যাত্রীদের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা পূরণ করবে।