নয়াদিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি: 'আর্থিক অবিচার'-সহ নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনে দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল সিপিআই (এম)। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)-এর বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, "নিজেদের প্রতিবাদকে সুদৃঢ় করতে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের। ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করতে একত্রিত হয়েছি আমরা। এই লড়াই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করবে। ৮ ফেব্রুয়ারি দিনটি ভারতের ইতিহাসে লাল অক্ষরের লেখা থাকবে।" কেরলের মন্ত্রী কাদান্নাপল্লী রামচন্দ্রন বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকাণ্ডের কারণে, তাঁরা সংবিধানের মর্যাদা বজায় রাখার পক্ষে নয়। আমরা সংবিধান সম্পর্কিত কিছু সাহায্য পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।"
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, "ইডি এখন একটি নতুন অস্ত্র। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলেই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হতো। কিন্তু এখন তাঁরা (বিজেপি) ঠিক করেছে, কাকে কারাগারে পাঠাবে, তারপর ভাববে কোন মামলাটি ওই ব্যক্তির উপর চাপানো হবে। হেমন্ত সোরেনকে জেলে রাখা হয়েছে, অথচ মামলা শুরুই হয়নি...আগামীকাল, তাঁরা আমাকেও জেলে ভরতে পারে।"
এদিকে, বামেদের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেছেন, "লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। কেরলে বর্তমান সরকার গত ৮ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তাঁরা যখন ২০১৬-২০২১ সালের নির্বাচনে লড়েছিল, তখন তাঁরা বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন তাঁরা বুঝতে পেরেছে যে নিজেদের অর্জন সম্পর্কে তাঁদের বলার কিছু নেই...তাই, অন্য কাউকে দোষ দিতে চায় এবং তাঁরা একটি সুবিধাজনক উপায় খুঁজে পেয়েছে। ভারত সরকারের উপর দোষ চাপানো।"