নয়াদিল্লি, ৭ মে : "অপারেশন সিঁদুর" নিয়ে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে করলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। এ ছাড়াও দুই মহিলা আধিকারিক ছিলেন। তাঁরা হলেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কর্নেল সোফিয়া, উইং কমান্ডার ব্যোমিকারা জানিয়েছেন কী ভাবে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, ‘‘পাকিস্তানে মোট ন’টি ঘাঁটিকে নিশানা করা হয়েছে। সেগুলিকে পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে।’’
কোথায় কোথায় কেন হামলা চালানো হয়েছে, তালিকা দেন ব্যোমিকা, সোফিয়ারা। তাঁদের তালিকা অনুযায়ী, প্রথম নিশানা ছিল শুভান আল্লাহ মসজিদ, সেখানে লস্কর-এ-তৈবা ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। বিলাল মসজিদে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কোটলিতে যে মসজিদে হামলা হয়েছে, তা লস্করের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি পুঞ্চে সক্রিয়। এগুলি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছে। ব্যোমিকা, সোফিয়ারা জানান, পাকিস্তানের ভিতরে শিয়ালকোটের সার্জাল ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমা থেকে তা ছ’কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া হামলা হয়েছে মেহমুনা জোয়া ক্যাম্পে। সেখানে হিজবুলের ক্যাম্প ছিল। পঠানকোটে এখান থেকেই হামলা চালানো হয়। মুরিদকের মারকাজ তৈবায় হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। ২৬/১১ মুম্বই হামলার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এখান থেকেই। আজমল কসাবও উঠে আসে এখান থেকেই।