ক্যানিং, ৫ মে : নিষিদ্ধ মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে আক্রান্ত হলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বাবা-মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মেয়েও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি বয়ারসিং আখন্দ পাড়া এলাকায়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত আব্দুল হান্নান আখন্দ, তাঁর স্ত্রী হাসিনা আখন্দ ও মেয়ে হালিমা মীরকে রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সাইফুদ্দিন গাজী নামে এক ব্যক্তি এলাকায় নিষিদ্ধ মাদকের কারবার করছে অনেকদিন ধরেই। সম্প্রতি এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের সামনে বসে সেই মাদক বিক্রি করছে। আব্দুল হান্নান ও তাঁর ছেলে শামিম হক আখন্দ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, এলাকার যুব সমাজ এই নিষিদ্ধ মাদক খেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই মাদক স্কুলের সামনে যাতে সাইফুদ্দিন না বিক্রি করে সে বিষয়ে তাকে সতর্ক করেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই কারণে রবিবার রাতে আচমকাই তাঁদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে সাইফুদ্দিন ও তার অনুগামীরা। মারধরের পাশাপাশি শামিমের দোকানে ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। রবিবার গভীর রাতে এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তরা। আব্দুল হান্নান বলেন, “দিনের পর দিন ওই একটা পরিবার এলাকায় মাদক বিক্রি করছে। আগে গ্রামের ভিতরে করতো। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করায় এবার রাস্তার মুখে স্কুলের সামনে বিক্রি করছে। আমি বারণ করেছিলাম, এসব নেশার সামগ্রী যাতে এখানে না বিক্রি করে, সেই কারণে আমাদের উপর হামলা হয়েছে।” শামিম বলেন, “এলাকার যুব সমাজ, কিশোর সকলেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বার বার বলা হলেও শোনেনি সাইফুদ্দিন। আমরা প্রতিবাদ করেছি, বলে আমাদের দোকান ভাঙচুর করেছে, মারধর করেছে, দোকানে পুটপাট করেছে। পুলিশ এলে পুলিশের সাথেও ওদের ধ্বস্তাধস্তি হয়।” এই ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।