Breaking News
 
Giriraj Singh on Mamata Banerjee: :‘বিহার জিতছি, এবার বাংলা টার্গেট’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজের হুঙ্কার; পাল্টা মুখ খুলল তৃণমূলও Bihar Assembly ElectionLIVE UPDATE: ভোটের ফলে মুখ থুবড়ে পড়ল তেজস্বী যাদব! আরজেডির গড়েই পিছিয়ে লালুপুত্র, কংগ্রেসের ভরাডুবি Delhi Blast: ভুটান থেকে দেশে ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! Shubman Gill: শুভমান-শেহনাজের মধ্যে সম্পর্ক কী? 'গিল' পদবি রহস্য ফাঁস করলেন সলমনের নায়িকা Partha Chtterjee: চাকরির দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার, পার্থর চ্যালেঞ্জ—'কার থেকে টাকা নিয়েছি?', খোলা চিঠি বেহালা পশ্চিমে Delhi Blast: সরকারি চাকুরের মেয়ে চিকিৎসক শাহিন, বিবাহবিচ্ছেদের পর জইশ-এ যোগদান, ধৃত জঙ্গি কাজ করত মাসুদের বোনের নির্দেশে

 

West Bengal

1 month ago

Bardhaman News: লোকসভা ভোটে ফর্ম দুর্নীতি, বর্ধমানের বিজেপি জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে সরব আদি পদ্মকর্মীরা!

Bardhaman BJP activists protest
Bardhaman BJP activists protest

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: গত লোকসভা নির্বাচনে জেলা নেতৃত্বের ‘১৭ সি ফর্ম’ সংক্রান্ত চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। কার্যত এই চাপে রাজ্যের শাসকদল বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের আসন দু’টি সহজেই দখল করতে পেরেছে। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেছেন, ১৭ সি ফর্ম সংক্রান্ত দুর্নীতির কারণে বিজেপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এই পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে।

কোনও বুথে ভোটগ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার ১৭ সি ফর্ম বুথ এজেন্টের দিয়ে থাকেন। যাতে বুথ কত ভোট পড়েছে, কতজন ভোট দেয়নি, ইভিএম নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য থাকে। বুথ এজেন্ট তা সংশ্লিষ্ট দলের নেতৃত্বের কাছে জমা দেন। গণনাকেন্দ্রে ওই ফর্ম নিয়ে যান সংশ্লিষ্ট কাউন্টিং এজেন্ট। যা নির্দিষ্ট ইভিএম মিলিয়ে দেখেন তাঁরা। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে এই ফর্ম নিয়ে যেতে পারেননি বহু কাউন্টিং এজেন্ট। গণনায় কোনও কারচুপির অভিযোগ থাকলে এই ফর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মামলা হলে আদালতে এই ফর্ম যাচাই করা হয়। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নথিই নেই জেলা নেতৃত্বের হাতে। যা জেনে অবাক অনেকেই। 

আদি বিজেপি কর্মী পিন্টু সাহা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমাদের কাছে ১৭ সি ফর্ম নিয়ে গেল। কিন্তু কাউন্টিংয়ে ব্যবহার‌ হয়নি। তাই আমরা আবার সেগুলো ফেরত নিয়ে নিয়েছি। জানা গিয়েছিল, ভোটের সময় যার পোলিং এজেন্ট হয়েছিল ১৭ সি ফর্ম জমা দিলে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল। হয়তো টাকা দেওয়ার ভয়ে বা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে ভোট কাউন্টিংয়ের সময় ১৭ সি ফর্ম গণনা কেন্দ্রে পাঠায়নি।’’ আর এক আদি বিজেপি নেতা টোটন নায়েক লিখেছেন, “মেমারি বিধানসভার কনভেনরের কাছে ৬টা ফর্ম পড়ে আছে। ভোটের সময় বুথে এজেন্ট দেওয়ার দরকরই ছিল না এত ঝামেলা করে। সব তো নেতারা আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।” 

আদি বিজেপি নেতা কেশব কোঙার বলেন, ‘‘এই ফর্ম নিয়ে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে। একটা বিধানসভা এলাকা থেকে ২০-২৫টি ফর্ম ১৭ সি জমা না হওয়া মানে ২৮ থেকে ৩৫ হাজার ভোট বিক্রি হয়ে যাওয়া। ২০২১ সালের পর থেকে প্রত্যেকটা জেলা সভাপতি, জেলার জিএস, জেলা ইনচার্জ, জেলা কনভেনররা এই দল বিরোধী কাজে জড়িত। এই পদ্ধতি চালাতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সক্রিয় কার্যকর্তাদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। সাধারণ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন পূর্ব বর্ধমান বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।’’ 

You might also like!