দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আগেই স্টুডিও থেকে চুরি গেল মা দুর্গার মুখ, চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে। জানা গেছে, চক্ষুদান হওয়ার পর দুটি দুর্গাপ্রতিমার মুখ মূর্তির কাঠামো থেকে উপড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আসানসোলের মহিশীলা কলোনির পালপাড়ায় মৃৎশিল্পী বাপী পালের কারখানা থেকে উধাও হয় এই মুখ দুটি। পরে চুরি যাওয়া মুখগুলো উদ্ধার হয় হরিরঞ্জন পালের স্টুডিও থেকে। চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত পরিযায়ী শ্রমিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়।
শুক্রবার সকালে দেখা যায়, বাপী পালের স্টুডিওর ভিতর সম্পূর্ণ তৈরি হওয়া দুটি প্রতিমা থেকে মা দুর্গার মুখ উধাও। লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ এমনকী মহিষাসুরের মূর্তি এবং মুখ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শুরু খোঁজাখুঁজি। এরপরেই চুরি যাওয়া মুখ দুটি উদ্ধার হয় হরিরঞ্জন পালের কারখানায়। হরিরঞ্জনের কারখানার পরিযায়ী শ্রমিক প্রীতম ঠাকুর এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। হরিররঞ্জন পালের দাবি, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। প্রীতম ঠাকুর নামের ওই পরিযায়ী শ্রমিক কারখানায় দু’মাস ধরে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন সে উধাও ছিল। হরিরঞ্জনের দাবি, প্রীতমের চালচলন কিছুটা অস্বাভাবিক ধরণের। ঘটনা জানাজানি হতেই প্রীতমকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে এলাকায় আসে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। তিনি ঝাড়খণ্ডের জসিডির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, চুরির কথা স্বীকার করেছে সে।
কেন ওই মুখ দুটি চুরি করল প্রীতম? মৃৎশিল্পী বাপী পালের দাবি, ওই দু’টি মা দুর্গার মুখের ছাঁচ বা ডায়াস অন্যান্য প্রতিমার তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্নরকম। বাপী জানিয়েছেন, পালপাড়ার অন্য কোনও প্রতিমার ছাঁচের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। তিনি মনে করছেন, ছাঁচ বা ডায়াসের লোভে মুখ দুটি উপড়ে নেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর দাবী, এই ঘটনা ওই পরিযায়ী শ্রমিক একা ঘটায়নি; তাঁর সন্দেহ, আরও কেউ রয়েছে ঘটনাটির পিছনে। প্রীতমকে ব্যবহার করে এই চুরি করানো হয়েছে। বাপী পালের কথায়, মূর্তি দুটি শুক্রবারই পুজো কমিটির হাতে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।