দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৩ মে: ‘পুলিশি তাণ্ডবের’ প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার প্ল্যাকার্ড-পোস্টার হাতে চম্পাহাটির বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। বজবজ-এ বিস্ফোরণের জেরে সোম ও মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যায় বম্ব স্কোয়াড এবং সিআইডি। এলাকা থেকে উদ্ধার হয় আরও ৫৭ কেজি বাজি। বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর থেকে পুলিশ এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে জুলুম করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ‘ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা কোনও কারখানা নয়। একজনের বাড়িতে কিছু বাজি মজুত ছিল, পুজো করার সময় ঘরে ধুনোর আগুনের ফুলকি বাজিতে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনাকে কারখানায় আগুন বলে মনে করে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে এলাকার বেশ কিছু বাজি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ বাজি বিক্রি করেই এখানে পেট চলে এলাকার বাসিন্দারা। এখানে বাজি তৈরি হত না। মরশুমের সময় বাজি বিক্রি করা হয়। তারপর সেই বাজি বেঁচে গেলে কোথাও কোথাও ঘরে রাখা হয়। সেটা যাতে না রাখা হয়, তার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল র্রচার। তারই মধ্যে ঘটে যায় এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবারের ওই বিস্ফোরণে এক বালিকা-সহ তিন মহিলা মারা গিয়েছেন। ওই ঘটনার পরেই এলাকায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। দোকান থেকে প্রচুর বাজি ও বাজির মশলা বাজেয়াপ্ত করা হয়। বেআইনি বাজি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা থেকে বাজি কারবারি বেচু মন্ডল-সহ মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেচুর আট দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। এ ছাড়া বাকি সকলেরই আলিপুর আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর হয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৬ মে দিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২১ মে বজবজে বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। রাজ্যে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।