দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য যুদ্ধ বা সংকটজনক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের নাগরিকদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি প্রশাসনকে একগুচ্ছ সতর্কতামূলক নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "রাজ্যে যেন কোনওভাবে খাদ্য সংকট না দেখা দেয়। কেউ যেন সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি করতে না পারে। সরকার তা কঠোরভাবে নজরে রাখবে।"
কী কী নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
১. খাদ্যভাণ্ডার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ: জেলার জেলা শাসকদের (DMs) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত চাল, ডাল, তেল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত রাখতে। রাজ্যস্তরে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরকেও দ্রুত পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২. কালোবাজারি ও মজুতদারির বিরুদ্ধে নজরদারি: মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলেই প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। খাদ্যদ্রব্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা রুখতে পুলিশ ও ভোক্তা সুরক্ষা দফতরকে সক্রিয়ভাবে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
৩. মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর সম্পূর্ণ নজর রাখছে। মানুষকে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।"
৪. যোগাযোগ ব্যবস্থা ও রেশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা: রেশন দোকানগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কোটা বরাদ্দ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও কড়া বার্তা, "মনে রাখবেন, এসময়ে এসব করা কিন্তু অপরাধের সমান। সরকার ঠিক সময়ে ঠিক ব্যবস্থা নেবে।" বাজারের চেয়ে ‘সুফল বাংলা’ স্টলগুলিতে সবজির দাম কিছুটা কম। সেকথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, সুফল বাংলা স্টল খুব ভালো কাজ করছে। আরও ১০০টি স্টল বাড়ানো হবে।