বাঁকুড়া, ১ অক্টোবর : একদিন আগে বাঁকুড়ার বাঁকাদহ এলাকায় দেওয়াল ধসে তিন শিশুর মৃত্যুর পর ফের শনিবাররাতে ছাতনায় দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মৃত বৃদ্ধার নাম পুরবী হাঁসদা। তাঁর বাড়ি ছাতনা ব্লকের দক্ষিণ হাঁসাপাহাড়ি গ্রামে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। শুরু হয়েছে চাপানউতর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে নিজের মাটির বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন পুরবী দেবী। আচমকাই মাটির কাঁচা বাড়ির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে। মাটির চাঙড় পড়ে তাঁর গায়ে। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, রাজ্যের সব প্রান্তেই চলছে তুমুল বৃষ্টি। তাতেই বেহাল দশা মাটির বাড়িগুলির। হাঁসাপাহাড়ি গ্রামের লোকজন বলছেন, বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়ালে জল ঢুকে গিয়ে মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। তারফলে ভেঙে পড়ছে একের পর এক বাড়ি।
প্রসঙ্গত, বাঁকাদহের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। মৃত তিন শিশুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, আবাস যোজনার ঘর নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তালিকায় নাম থাকলেও ঘরের টাকা পাননি তাঁরা। এরইমধ্যে এবার নতুন করে এক মৃত্যুর ঘটনায় তৈরি হয়েছে নতুন আলোড়ন।
সূত্রের খবর, স্থানীয় ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল এই বৃদ্ধারও। কিন্তু ঘর পাননি তিনি। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পাকা বাড়ি থাকলে আজ এই দিন দেখতে হত না।