দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এলাকার ৮০% মানুষ এই পেশার সঙে যুক্ত, আর সে কারনেই এই পেশার নামেই এখন সবাই চেনে এই গ্রামকে। হাবড়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আয়রা পারুইপাড়া, আর এই পাড়ার নামই 'ফুচকা পাড়া'। এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন তৈরি হয় জিভে জল আনা মুখরোচক ফুচকা। বিকেল হলেই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ ফুচকার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আশপাশের এলাকায় বিক্রির জন্য। আর বাড়ির মহিলারা সকালবেলা থেকেই শুরু করেন ফুচকা তৈরির প্রস্তুতি। এই এলাকার ঘরে ঘরে তৈরি হয় ফুচকা। পুরুষদের পাশাপাশি এলাকার মহিলা থেকে কচিকাঁচারাও আজ এই ফুচকা তৈরির কাজ করে রীতিমতো স্বনির্ভর।
ভোর থেকেই বিশেষ পদ্ধতিতে আটার লেচি করে ছোট ছোট আকারে বেলে নিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তৈরি করেন হাজার হাজার ফুচকা। এরপর, বিকেল হলেই বাড়ির পুরুষেরা সেই ফুচকা বাক্সবন্দী করে নিজেদের ঠেলাগাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আশপাশের অশোকনগর হাবরা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিক্রির জন্য।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার ফুচকা তৈরি হয় এই পারুই পাড়া এলাকায়। শুধু স্থানীয়রাই নন দূরদূরান্ত থেকেও এখন মানুষজন ফুচকা কিনতে আসেন এই গ্রামে। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে দু'একটি বাড়িতে ফুচকা তৈরি হত। কিন্তু, বর্তমানে এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই তৈরি হয় ফুচকা। বাড়ির পুরুষদের পাশাপাশি আজ মহিলারাও এই কাজে হাত লাগিয়ে উপার্জন করছেন। ফুচকাকেই জীবন জীবিকার মূল বস্তু করে আজ হাসি ফুটেছে হাবরার পারুইপাড়ার 'ফুচকা পাড়ার' বাসিন্দাদের মুখে।