দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বাংলোতে আগুন। আটটি ঘর পুড়ে ছাই। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।আগুন লাগার এক ঘণ্টা দশ মিনিট পর এল দমকল বাহিনী। মঙ্গলবার রাত 9টা নাগাদ আগুন লাগে হলং বন বাংলোতে । বন বাংলোটি কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে । সময় মতো দমকল এলে কিছুটা হলেও ঐতিহ্যবাহী বাংলোটিকে রক্ষা করা যেত বলে মনে করছেন অনেকেই ৷
ডুয়ার্সের হলং বাংলো থেকে 20 কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই অবস্থিত দু’টি দমকল কেন্দ্র ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দমকলের কেন এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে গেল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷ কারণ, রাত ন’টায় আগুন লাগলেও দমকল এসে পৌঁছয় রাত দশটার পর । আগুন লাগার পেছনে কোনও চক্রান্ত আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার প্রবীণ কাশোয়ান জানান, রাত নটা নাগাদ আগুন লাগে । বনকর্মীরা আগুন দেখতে পায়।বর্তমানে বন বাংলোটি তিনমাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে । প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণে এসি মেশিনে বিষ্ফোরণ হয় ৷ তার থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ৷ বাংলোটি পুরোপুরি কাঠের হওয়ায়, আগুন তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। বনকর্মীরা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এরপরই ফালাকাটা ও হাসিমারা দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হয়। প্রায় একঘণ্টা 10 মিনিট পর এসে পৌঁছয় দমকল ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন মাদারিহাটের বিডিও, ওসি-সহ বনাধিকারিকরা ।
উত্তরবঙ্গের পর্যটনে হলং বাংলো সারা দেশের কাছে একটা পরিচিত নাম। রাজ্য তথা বিভিন্ন জায়গার একাধিক ব্যক্তির কাছে এই বাংলো ছিল অত্য়ন্ত পছন্দের ৷ এক সময়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গেলে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু হলং বাংলোতে থাকতেন ৷ ভষ্মীভূত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী সেই হলং বন বাংলো ৷