কলকাতা, ২৮ নভেম্বর : শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই উত্তপ্ত বিধানসভা৷ মঙ্গলবার বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী দল বিজেপি।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের বিষয়টি পাঠের অনুমতি দিলেও আলোচনার অনুমোদন দেননি। এরই প্রতিবাদে বিধানসভার ভিতরে হইচই শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় ওঠে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ ধ্বনি। ওয়েলে নেমে বিরোধী বিধায়করা স্লোগান তোলেন, "আজ নেই দরকার চোরেদের সরকার"৷ এরপর তীব্র হইচইয়ের মধ্যে বিধানসভা থেকে কক্ষত্যাগ করে বিজেপি ৷
অধিবেশনের শুরুতে দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাবটি পাঠ করার অনুমতি দেন শ। প্রস্তাবটি পাঠ করেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। অধ্যক্ষ শুধু সেই প্রস্তাব পাঠ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেননি৷ এই নিয়েই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা৷ বিধানসভার ভিতরে তাঁরা দিতে থাকেন একের পর এক ধ্বনি। এরপর অধিবেশন থেকে কক্ষত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়করা ।
যদিও এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দুর্নীতির বিষয়টি বিচারাধীন৷ তাই এই নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা যায় না। সেই কারণেই দুর্নীতি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তবুও তা পাঠ করতে দেওয়া হয়েছিল৷ তবে যে ভাবে বিধানসভায় বিরোধীরা 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান দিয়েছেন তা কাঙ্ক্ষিত নয় বলে মত অধ্যক্ষের।
এদিকে, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিনের বিজেপির বিক্ষোভকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন৷ তাঁর কথায়, "ওরা টিভির পর্দায় বেঁচে থাকতেই এ সব করে। বিজেপি ভালো করেই জানে যে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা যায় না। তবুও তারা টিভি পর্দায় থাকার জন্যই বিধানসভায় হইচই করে বিক্ষোভ দেখিয়ে ওয়াক-আউট করেছে৷"