পশ্চিম মেদিনীপুর : পশ্চিম বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের বহু কলকারখানা। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে। এবার শিল্পাঞ্চলের ঐতিহ্য বহন করে আসা রানীগঞ্জ বেঙ্গল পেপার মিলে, সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ ঝলানোয়, অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ৩০০ জন শ্রমিকের রুজি রোজগার।
এর আগে ১৬ ও ২৪ শে জানুয়ারি দু-দফায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন প্রদান করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, পেপার মিল কর্তৃপক্ষ তরফে, তবে তা কার্যকর হয়নি। এর জেরে শ্রমিকেরা বারংবার কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখায়। ফলে চিঠি দেওয়া হয় জেলা শ্রমদফতরের আধিকারিকের কাছে। কিন্তু তারপরও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার উল্টে কোনো বকেয়া না দিয়ে, ঝোলানো হলো সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ, যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ আর্থিক ক্ষতিপূরণের অজুহাতে, বন্ধ করছে কারখানা, অথচ কাগজ শিল্পের বাজারে চাহিদা রয়েছে। তারপরও কখনো কারখানার কাঁচামাল মিলছে না, কখনো অন্য কোন অজুহাত দেখাচ্ছে তারা। যা কারখানা কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব বলেই দাবি তাদের। এই বিষয়ের প্রেক্ষিতেই প্রতিবাদের সরব হল পেপার মিলের শ্রমিকেরা। কোন রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই তারা এদিন প্রতিবাদের সরব হয়। তাদের দাবি বিনা নোটিশে ৭ই জানুয়ারি থেকে মিল বন্ধের পর, এবার সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ ঝলালো মিল কর্তৃপক্ষ, যা একেবারে বেআইনি। এক মাস ধরে বকেয়া বেতন বাকি, আর একমাস ধরে কাজ ছেড়ে বসে রয়েছে তারা, কিন্তু তারপর ঝোলানো হলো সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ, যা নিয়ে হতাশ শ্রমিকেরা এবার প্রতিবাদে সরব হয়ে দাবি করে, অবিলম্বে কারখানা খোলা হোক, আর বকেয়া বেতন প্রদান করুক কর্তৃপক্ষ। যদিও এতসব বিক্ষোভ আন্দোলনের পরও কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি, তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।