দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা থেকে দানা বাঁধতে পারে নিম্নচাপও। যা ঝড়বৃষ্টি নিয়ে আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে নিম্নচাপ তৈরির আগেই অবশ্য ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। চার জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও।আগামী ২০ মে-র মধ্যে গভীর নিম্নচাপ ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কি তা বাংলায় আছড়ে পড়বে? এখন থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছে এবং বাড়ছে শঙ্কাও। যদিও আপাতত কোনও খারাপ খবর দিচ্ছে না আলিপুর।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে আগামী ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী সাতদিনে তা আরও বেশি শক্তিশালী হবে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে এমন কোনও উপক্রম এখনও তৈরি হয়নি। বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেই তবে তার গতিবিধি বিবেচনা করা সম্ভব।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, আমফানের মতোই বিধ্বংসী হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে সেটি কতটা শক্তিশালী হবে বা আদৌ সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে কিনা তা পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সেক্ষেত্রে কি তাহলে বাংলায় এর প্রভাব পড়বে? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটির সম্ভাব্য গন্তব্য হবে মায়ানমার এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ। যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটাই দূরে।
বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন তৈরি হলে তার নাম হবে রেমাল। ২০২০ সালের ২০ মে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডব দেখেছিল বাংলা। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গে। এছাড়াও মে-মাসে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে একাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন আঘাত হেনেছে। আবারও অশনি সঙ্কেতই দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।