দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান তৃনমূল নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। সরাসরি আইপ্যাককে নিশানা করেছেন, কামারহাটির বিধায়ক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও বিস্ফোরক দাবি মদনের। তিনি বলেছেন, “সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও দুর্নাম ছিল না। যেটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে কালি লেগেছে, তা প্যাকওয়ালাদের জন্য।” মদনের আরও সংযোজন, “প্যাকওয়ালাদের জন্যই বাংলার বাইরে থেকে সুযোগসন্ধানী একদল এল, মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলত, আমি ওমুক প্যাক থেকে এসেছি, এই কাজটা কালকের মধ্যে ছাড়তে হবে।” তিনি আরও বলেন, “কোনও প্যাক ছাড়াই আমরা উপনির্বাচনগুলো জিতেছি, মিটিং মিছিল করেছি।”
এদিন টাকার বিনিময়ে শাসকদলের টিকিট বিক্রির অভিযোগও করেছেন মদন মিত্র। তিনি এখানেও আইপ্যাককে কাঠগড়ায় তুলে অভিযোগ করে বলেছেন, “এসব কথা শুনছি। এসব আমাদের দলে আইপ্যাকই শুরু করেছিল। ২০২১-এর আগে এসব শুরু হয়েছিল। টাকা নিয়েও নমিনেশন দেওয়া হয়নি। লোককে কাঁদতে দেখেছি।” তাঁর আক্ষেপ, “কিন্তু কিছু করা যাবে না কারণ ক্যাশে লেনদেন হয়েছে।” নির্বাচনী সমীক্ষা সংস্থা আইপ্যাককে খোঁচা মেরে মদনের দাবি, “ওরা কিছু লোকের নামে রেকমেন্ডেশন করে চলে গিয়েছে। ভোটে লড়াই করেছে আমাদের ছেলেরা। আইপ্যাকের ছেলে কোথায়? আইপ্যাক মানে প্য়াক আপ।” পরিশেষে তাঁর সংযোজন, “দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বচ্ছতা একই জিনিস। হংস পাখায় কখনও দাগ লাগে না।” মদন-বাণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, “মদন মিত্র সিনিয়র নেতা। তিনি যেটা বলেছেন সেটা আরও সিনিয়র নেতাদের বিবেচ্য বিষয়। এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
সম্প্রতি রস্বতী পুজো ঘিরে উত্তাল যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ওই কলেজের পড়ুয়ারা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সাথে আলোচনাও করেছেন। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই নোংরামি করেছে, সেই কারণে মেরেছে’। তিনি সাব্বিরের সমর্থনে বলেছেন, ‘সাব্বির আলি পেটালে বিভেদের রাজনীতি হয় নাকি! উত্তম কুমার বাঁশ দিয়ে মারলে ভালো হতো? বাংলায় হিন্দু মুসলিমের কোনও বিভেদ নেই’। এখানেই না থেমে সাব্বিরকে ‘বাচ্চা ছেলে’ সম্বোধন করে মদন আরও বলেন, ‘আমি আর সাব্বির একসঙ্গে জিম করি। সাব্বির বাচ্চা ছেলে। নোংরামো করেছে বলে মেরেছে। সাব্বির মারলে আপত্তি থাকলে এবার আবির মারবে’।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের একের পর এক মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।