দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ক কুমার শানুর ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই ছিল চর্চার কেন্দ্রে। একাধিক বিতর্কের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে অতীতে। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী ও প্রাক্তন প্রেমিকা কুনিকা সদানন্দের অভিযোগে ফের শিরোনামে আসেন তিনি। কুনিকা দাবি করেন, শানুর সঙ্গে তাঁর এক সময় 'বিবাহ বহির্ভূত' সম্পর্ক ছিল। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মুখ খুললেন গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রীতা জানিয়েছেন, কুমার শানুর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে তিনি ‘চরম যন্ত্রণার’ শিকার হয়েছেন। তাঁর সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, সন্তানসম্ভবা অবস্থায় শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল তাঁকে। রীতার কথায়, “কুমার শানু ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত। তাই আমাকে ঘর থেকে বের হতে দিত না। আমার গর্ভাবস্থায় আমাকে আদালতে পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছে। ওই সময়ে ও এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়েছিল। যেটা এখন সকলেই জানেন। আমার বয়স তখন অনেকটাই কম। আমি তো ভেবেছিলাম, আমার জীবনটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল। আমার পরিবারও অবাক হয়ে গিয়েছিল এসব দেখেশুনে। গতবছর এক বড় পার্টিতে শানু বলে যে, আমিই নাকি ওর সাফল্যের নেপথ্যে। কিন্তু আমি তো কারণটাই জানি না! এই কুমার শানুই আমাকে আদালতে নিয়ে নিয়ে আমার খোরাক বানিয়েছিল। হেসেছিল।” এখানেই শেষ নয়!
গায়কের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন স্ত্রী। রীতা ভট্টাচার্যের দাবি, “জান যখন গর্ভে ছিল তখন আমাকে খাবার খেতে দেওয়া হত না। শানু ঘর থেকে বেরনোর সময়ে হেঁশেলে তালা ঝুলিয়ে যেত। একমুঠো চাল কিনে তখন আমি আমার বউদির বাড়িতে গিয়ে খিচুড়ি রেঁধে খেতাম। এমনকী আমার বাচ্চাদের জন্য দুধ পর্যন্ত আনতে দিত না। আমাকে দিনের খরচ চালানোর জন্য হাতে মাত্র ১০০ টাকা গুঁজে দিত। ডাক্তারকেও বলেছিল, আমাদের খরচ দিতে পারবে না ও। তাই ওদের ‘মানুষ’ বলা ভুল হবে। বাচ্চার খাবার অর্ডার করলে, দোকানদার আমাকে সাফ জানিয়ে দিত- দিতে পারব না, সাহেব মানা রয়েছে।” ওই সাক্ষাৎকারেই শানুর প্রাক্তন স্ত্রীর সংযোজন, “ওর বোন নিজের স্বামী-সন্তান ছেড়ে আমাদের সঙ্গে এসে থাকত। শানু যে ঘরে ঘুমোত, বোনও সেই ঘরেই ঘুমোত। আর আমি সন্তানদের নিয়ে আবাদা ঘরে থাকতাম। ওরা দুজনেই আমাকে অত্যাচার করেছে।” এই সাক্ষাৎকার সামনে আসতেই আবারও নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে বলিউড ও সঙ্গীত জগতে। যদিও এই অভিযোগের প্রসঙ্গে কুমার শানুর তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।