দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আধুনিক শল্যচিকিৎসা ব্যবস্থার পথিকৃত হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত ১৮৩৬ সালের ১০ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেন। ভারতে গোড়াপত্তন হয় আধুনিক চিকিৎসার। যে মানুষটির যুগান্তকারী পারদর্শিতায় ভারতে আধুনিক চিকিৎসায় বিপ্লব আসল, তাঁকেই বেমালুম ভুলে গেল বঙ্গবাসী!
পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্তকে আত্মবিস্মৃত বাঙালি ভুলে গেছে ঠিকই। হুগলিরই আরেক কিশোরের চেষ্টায় সম্প্রতি পণ্ডিত গুপ্তের কৃতিত্ব দেশজুড়ে আবার প্রচারের আলোয় এসেছে। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞানকিশোর দাস সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে। যা ইতিমধ্যে ১৮ টিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে বছর সতেরোর এই কিশোর পরিচালক। ভারত সরকারের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক আয়োজিত একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও উচ্চ প্রশংসিত হয় এই তথ্যচিত্রটি। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া যুব চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছিল অভিজ্ঞান। সেখানে তার নির্মিত ‘আধুনিক ভারতের সুশ্রুত পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত’ জিতে নেয় সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার। অভিজ্ঞানের এই সাফল্যের হাত ধরেই পুনরায় পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্তকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়