আগরতলা : বাংলাদেশ রেলের ছয়জন স্টাফ নিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগরে নবনির্মিত রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাঁচটি বগি নিয়ে একটি ট্রায়াল ট্রেন আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে আসেন মোহম্মদ মজিবুর রহমান (এলএম) এবং মোহম্মদ রোকন মিয়াঁ (এএলএম)। ট্রেনটিতে পরিচালক (গার্ড)-এর দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ আব্দুর রহিম ও রবীন মজুমদার। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলি, বাংলাদেশ রেলওয়ের কমার্শিয়াল পরিদর্শক মহিউদ্দিন পাটোয়ারি ট্রেনে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ট্রায়াল রান বা ট্রেন চলে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর বুধবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে রেলপথটির উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশর ট্রেন নিয়ে নিশ্চিন্তপুরে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে ট্রেন চালক মোহম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, একজন চালক হিসেবে প্রথমবারের মতো আমাদের ছয়জন স্টাফ নিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছি। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মহম্মদ আবু জাফর মিয়াঁ জানান, এখন উদ্বোধনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই মেগা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা।
টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা বলেন, প্রকল্প, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রেলপথ। এই রেলপথে ৭৯ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। রেলপথটি চালু হলে দুই দেশের অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন হবে, ধারণা স্থানীয় মানুষের।