আগরতলা, : আগরতলা-আখাউড়া রেললাইনে প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান হল গ্যাংকার দিয়ে। এদিন সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চলে এই ট্রায়াল রান। তবে এই ট্রায়াল রানকে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল বলছেন না প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। কারণ এদিন বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত তুলনামূলকভাবে হালকা ইঞ্জিন চালানো হয় এই লাইনে। এই রেলরুট এর প্রকল্প পরিচালক শরৎ শর্মা বলেন, চূড়ান্ত ট্রায়াল রানের অপেক্ষা। তবে রেল লাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী দিনকে ধরে নিয়ে বাকি কাজগুলি চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
প্রসঙ্গত এই প্রকল্পের ঠিকাদারী সংস্থা টেক্সম্যাকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রকল্প প্রধান জানিয়েছেন, সাড়ে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল লাইনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশের ছয় কিলোমিটার রেল লাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে আর কি কি কাজ বাকি রয়ে গেছে তা দেখতেই এই গ্যাংকার চালানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাকি কাজগুলোও সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
আখাউড়া আগরতলা রেল প্রকল্পের অধিকর্তা আবু জাফর মিঞা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কংসের সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস ও লাগানো হয়ে গেছে। এখন বেলাস্টিং এর কাজ চলছে ও পেকিং দেওয়া হচ্ছে যাতে রেল লাইনের লেভেল ঠিক থাকে। এই মাসের মধ্যেই এই কাজগুলি শেষ হয়ে যাবে। তবে ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্ভাব্য উদ্বোধনী দিনের আগে ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ ও যথাসম্ভব শেষ করে কাজের উপযোগী করে তোলার জন্য চেষ্টা চলছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এক কথায় আগরতলা-আখাউড়া লাইনে রেল চলাচল শুরু এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কারণ এই লাইনে ভারতীয় অংশে সাড়ে চার কিলোমিটার রেল লাইনের কাজও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগরতলা আখাউড়া লাইনে রেল চলাচল শুরু হলে শুধু যাত্রী পরিবহণ নয়, পণ্য আমদানি রফতানির ক্ষেত্রেও দুই দেশের জন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।